পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী বা জগন্নাথ। । দৈত্য, যক্ষ, রক্ষ, গন্ধৰ্ব ? না স্বয়ং পতিত পাবন—ভক্তের বাঞ্ছাকল্পতরু —বিষ্ণু ? বলুন ! আমায় কৃতাৰ্থ করুন,-আমি বুঝিতে পারিয়াছি আপনারা কখনও মানুষ নহেন, মানুষের দ্বারা এইরূপ নৈপুণ্য কখনো সম্ভবপর নহে।” ইন্দ্ৰদ্যুম্বের এইরূপ ঐকান্তিক প্রার্থনায় ভক্তের ভগবান, —চিরসাধনার ধন কমলাপতির হৃদয় দ্রবীভূত হইয়া গেল, তিনি বলিলেন “আমিই স্বয়ং পুরুষোত্তম, আমি বিষ্ণু, আমি ব্ৰহ্মা ও আমিই মহেশ্বর, বৎস! আমি তোমার অকৃত্ৰিম ভক্তি ও একাগ্ৰতা দৃষ্টে অত্যন্ত গ্ৰীত হইয়াছি । তুমি আমার বরে দশ হাজার নয় শত বৎসর। পৰ্য্যন্ত পৃথিবীতে রাজদণ্ড পরিচালনা করিবে, ইহার পরে তুমি নিলেপ ও নিগুৰ্ণ পরমপদ প্ৰাপ্ত ইইবে । যতদিন চন্দ্ৰ, সূৰ্য্য প্রভৃতি বিদ্যমান থাকিবে, ততদিন পৰ্যন্ত তোমার কীৰ্ত্তি অক্ষুন্ন রহিবে ; তােমার যজ্ঞীয় সম্ভার-সস্তুত ইন্দ্ৰত্যুম্ন-সরোবর মহাতীর্থে পরিণত হইবে । এই সরোবরের নৈঋত কোণে যে বটবৃক্ষ আছে, তাহার নিকট নানাজাতীয় পাদপরাজি পরিবেষ্টিত যে মণ্ডপ আছে, আষাঢ় মাসের শুক্ল পঞ্চমীর দিবস হইতে সপ্তদিন পৰ্য্যন্ত মহোৎসব করিয়া সে স্থানে ইষ্টদেবকে স্থাপন করিও ।” ব্ৰাহ্মণরূপী বিষ্ণু ইন্দ্ৰদ্যুম্ন রাজাকে এইরূপে উপদেশ দান করিয়া অন্তর্ধান হইলেন। রাজা প্ৰফুল্ল চিত্তে বেদপারগ ঋত্বিকগণে পরিবৃত হইয়া সেই বিশ্বকৰ্ম্ম নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তিত্রয় রথে করিয়া আনিয়া যথাবিধি প্ৰতিষ্ঠা করিলেন——এবং যাগ যজ্ঞাদি বহুতর পুণ্যকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়া বিষ্ণুর বরে যথা সময়ে পরমপদ লাভ করিলেন। ‘নারদ পুরাণের’ মতে ইহাই জগন্নাথদেবের পৌরাণিক তত্ত্ব। ব্ৰহ্ম পুরাণের উক্তির সহিত এই উক্তির যথেষ্ট ঐক্য আছে। নানামুনির - নানামতের মত জগন্নাথদেবের উৎপত্তি বিষয়ক পৌরাণিক মত ও নানা বিভিন্ন প্রকারের দৃষ্ট এবং শ্রত হওয়া যায়। এই পৌরাণিক গল্পটি ছাড়া আরেকটি গল্প ও আমাদের দেশে সমধিক প্ৰচলিত, আমরা এখানে তাহাও উল্লেখ করিলাম । DDD DB DDD SDB BDBD BB BBDD BDBDB BB BD কল্য প্রত্যুষে সমুদ্রের তীরে গমন করিলে দারুব্রহ্মরূপে বাঁকি মােহনায় আমার দর্শন লাভ করিবে। পরদিবস প্রত্যুষে মহারাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন যথারীতি 8o