পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । বিশ্বাস যে, ইনি প্রতিদিন তিল তিল করিয়া বৃদ্ধি পান বলিয়াই ইহঁর নাম “তিলভাণ্ডেশ্বর’ হইয়াছে । কাশীধামের দুৰ্গাবাড়ী অত্যন্ত প্ৰসিদ্ধ ও প্রাচীন। “কাশীখণ্ড” নামক গ্রন্থেও ইহার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বৰ্ত্তমান দুর্গামন্দির প্রাতঃস্মরণীয়া রাণী ভবানীর ব্যয়ে প্ৰস্তুত হইয়াছে । দশপ্ৰহরণধারিণী দেবী দশভুজার নিকট প্রত্যহই ছাগবলি প্রদত্ত হয়। এখানকার জনসঙ্ঘ দেখিলে বিস্মিত হইতে হয়। এমন সময় নাই, যে সময়ে এস্থানে কোনও জনতা না থাকে। দূর দেশান্তর হইতে এখানে যে কত লোক আসিতেছে, তাহার সংখ্যা নাই। প্ৰত্যহ মঙ্গলবারে এবং প্ৰতি বৎসর শ্রাবণ মাসের মঙ্গলবারে দুৰ্গাবাড়ীর মেলায় লোক সংখ্যা খুব বৃদ্ধি পায়। দেবীর মন্দিরের কারুকাৰ্য্যাদি প্ৰশংসনীয় – এখানেও নেপালের মহারাজার প্রদত্ত একটা ঘণ্টা দোদুল্যমান। মন্দিরের প্রাচীরসীমায় পবিত্ৰ দুৰ্গাকুণ্ড অবস্থিত । দুৰ্গাবাড়ীতে বানরের অত্যাচার অত্যন্ত প্ৰবল, সাহেবেরা এ নিমিত্তে DSCF Monkey Temple ACN SfSfDS FCs কাশীর সহস্ৰ সহস্ৰ দেবমূৰ্ত্তির সংখ্যা করা ও দেবমন্দিরসমূহের বিবরণ প্ৰদান করা অসম্ভব। এমন গলি নাই যেখানে কোন না কোন দেবমূৰ্ত্তি না আছে। গঙ্গার তীরে যে সকল ঘাট আছে, প্ৰতোক ঘাটেই দেব-মন্দিরসমূহ দৃষ্ট হয়। একদিন আমরা “বেণীমাধবের ধ্বজা” দর্শন করিতে গমন করিলাম। পঞ্চগঙ্গাঘাটের উপরেই পূর্বে বেণীমাধব বা বিন্দুমাধবের মন্দির বিরাজিত ছিল,-ঔরঙ্গজেব সে দেব-মন্দির ভগ্ন করিয়া সে স্থানে এই বৃহৎ মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া গিয়াছেন। মসজিদের চারিকোণে চারিটী স্তম্ভ আছে, তন্মধ্যে সম্মুখস্থ দুইটাই সমধিক উচ্চ, উহাই এখন ( বেণীমাধবের ধ্বজা ) বলিয়া পরিচিত। এই ধ্বজ কলিকাতার অক্টালনি মনুমেণ্ট হইতে অনেক উচ্চ । উহার উপর হইতে কাশীর চতুৰ্দিকস্থ দৃশ্যাবলী চিত্রের ন্যায় প্রতীয়মান হয়। কাশীতে অনেক রাজা মহারাজা ও জমীদারগণের কীৰ্ত্তি আছে ; কিন্তু সর্বাপেক্ষা নাটোরের প্ৰাতঃস্মরণীয়া রাণী ভবানীর কীৰ্ত্তিই সংখ্যায় বেশী, কাশীবাসিগণ র্তাহাকে স্বয়ং অন্নপূর্ণার অংশসস্তুত বলিয়। বিবেচনা করেন। এই পুণ্যবতী রমণী शर्णानांज़ी বেণীমাধবের ধ্বজ। br