পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yr ༄༅་ཅི་རྩ་སོག། ༈ মন্দিরেই দৃষ্ট হয়; কিন্তু স্থাপত্য-কাৰ্য্যে ইহা ভুবনেশ্বরের দেবমন্দির সমূহের সহিত তুলনায় অনেক নিকৃষ্ট-প্ৰাচীনত্ব হিসাবেও ইহা ভুবনেশ্বরের মন্দির হইতে আধুনিক। শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মন্দিরের উপর যে চুড়া আছে উহার নাম নীলচক্ৰ, ইহা অষ্টধাতুর রাসায়নিক সংযোগে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, দেখিতে অত্যন্ত মনোরম। কালাপাহাড় ১৫৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহা ভাঙিবার চেষ্টা করিয়া কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে নাই কথঞ্চিৎ অনিষ্ট করিয়াছিল মাত্র। অনেকদিন পৰ্য্যন্ত উহা বিকৃত অবস্থায় ছিল, পরে ১৫৯৪ খ্ৰীষ্টাব্দে খুর্দার প্রথম নৃপতি রামচন্দ্ৰদেব উহার সংস্কার সাধন করেন ; এই চক্রের ওজন ৪মণ ৩০ সেরা ১০। ছটাক তিন কঁাচ্চা । ইহা তিনবার সংস্কারাদির পরে এখন অত্যন্ত সুন্দর দেখায়। ইহাতে সর্বশুদ্ধ ১৭৯৮৮৭৯॥০ মুদ্রা ব্যয় হইয়াছে। এই দেব মন্দিরের চতুদিকে নৃসিংহ, বামন ও কন্ধি অবতার প্রভৃতি নানাবিধ পৌরাণিক বিরাট মূৰ্ত্তির সৌন্দৰ্য্য ও গঠন নৈপুণ্য বিশেষ চিত্তাকর্ষক। কিন্তু জানিনা কাহার আদেশে এসকল দেবমূৰ্ত্তি ভিন্ন শ্ৰীমন্দিরের তিনদিকের গাত্রে নানাবিধ অশ্লীল মূৰ্ত্তি অঙ্কিত ও খোদিত রহিয়াছে ! এইরূপ জঘন্য ছবি দেখিলেই হৃদয়ে ঘূণার উদ্রেক হয়, এরূপ নীচ কল্পনা যে মানুষের চিন্তায়ও আসিতে পারে তাহাই আমরা ভাবিয়া ঠিক করিতে পারি নাই। এমন লোক অতি অল্পই দৃষ্ট হয় যিনি এসকল ছবি দেখিয়া লজ্জায় মস্তক অবনত করেন না। পিতা পুত্রে, ভ্রাতা ভগ্নী, মাতা পুত্রে ও স্বামী স্ত্রীতে মিলিয়া এসকল ছবির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে পারা যায় না। জানিনা কোন উদ্দেশ্য সাধনাৰ্থ এই সকল মুক্তি অঙ্কিত ও খোদিত হইয়াছে ! কেহ কেহ বলেন যে লোকের চিত্ত-বৃত্তি পরীক্ষার নিৰ্ম্মিতই এসকলের উৎপত্তি, এসকল কুৎসিৎ প্ৰতিমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়াও যাহাদের চিত্তবৃত্তি বিচলিত হয় না। তাহারাই প্রকৃত দেবদর্শনের অধিকারী। কিন্তু এমন লোক অতি অল্পই দেখিয়াছি, যিনি এই সব বীভৎস মূৰ্ত্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া লজ্জায় মাথা হেঁট করেন নাই। গুণ্ডিচাবাড়ীর অশ্লীল ছবিগুলি আরও জঘন্য। যেমন অজণ্টা গুহা চিত্রাবলী হইতে