পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তদ্রুপ কুরুচি সম্পন্ন অশ্লীল মূৰ্ত্তি সমূহ খোদিত ও অঙ্কিত আছে। । ধূৰ্ত্ত পাণ্ডাগণ যাত্রিগণকে বিশেষতঃ অল্প বয়স্ক যুবতী বিধবা তীৰ্থ দৰ্শন ኴ : - অশ্লীল মূৰ্ত্তি সমূহ খােদিত ও অঙ্কিত আছে গুণ্ডিচা দেবীর মন্দিরের গায়ে 3. কারিনীগণের নিকট ইহা শ্ৰীভগবানের সখীগণসহ লীলার মূৰ্ত্তি বলিয় বুঝাইতে একটুও কুণ্ঠ বোধ করে না। ধৰ্ম্মের নামে তীর্থস্থলে যে কত । প্ৰকার ব্যাভিচার ঘটিয়া থাকে তাহা যাহারা কখনও ভারতবর্ষের নানা তীর্থভ্ৰমণ করেন নাই তাঁহারা অনুভব করিতে পারিবেন না। মার্কণ্ডেয় সরোবর — এই সরোবরাট আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র, ইহাকে সরোবর না বলিয়া পুকুর বলিলেই ঠিক হয়। ক্ষুদ্র হইলেও ইহা অত্যন্ত প্ৰাচীন। ইহা শ্ৰীক্ষেত্রের পঞ্চতীর্থের অন্যতম। কপিল সংহিতা পাঠে । জ্ঞাত হওয়া যায় যে শ্ৰীকৃষ্ণ মার্কণ্ডের মঙ্গলের জন্য এ স্থানে মার্কণ্ডেয় বট নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । এই সরোবরে সুদান করিয়া ইহার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত মার্কণ্ডেয়শ্বরের মন্দির মধ্যস্থ মার্কণ্ডেয়েশ্বর শিবকে দর্শন করিলে | দশ অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল হইয়া থাকে এবং মানব সৰ্বপ্ৰকার পাপ হইতে মুক্ত হইয়া শিবলোক লাভ করে। মার্কণ্ডেয়েশ্বরের মন্দির ও চারি অংশে বিভক্ত। মন্দিরের চারিদিকে আদ্যনাথ, হরপার্বতী, কাৰ্ত্তিকেয়, পঞ্চ পাণ্ডবলিঙ্গ, ষষ্ঠীমাতা প্ৰভৃতি বহুদেব দেবীর মূৰ্ত্তি আছে। ইহার চারিতীর ; ও বাধা । এ স্থানে প্ৰতি বৎসর চৈত্র মাসে অশোকাষ্টমী তিথিতে কালীয় जनन यांद्ध अख्निौड इश् । শ্বেত গঙ্গ-শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মহামন্দিরের উত্তর দিকে শ্বেত গঙ্গা অবস্থিত। ব্ৰহ্ম পুরাণ, নারদ পুরাণ প্রভৃতি নানা ধৰ্ম্ম গ্রন্থে ইহার মাহাত্ম্য : বর্ণিত আছে। এই সরোবরটিই সর্বাপেক্ষা গভীর। যাত্ৰিগণ অন্যান্য । তীর্থের ন্যায়। এখানেও সুান করিয়া থাকেন। প্ৰায় ৭০৷৷৮০টি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত সিড়ি বাহিয়া নীচে নামিলে তবে জলের নিকট পহুছা যায়। জলের রং সবুজ ও দুৰ্গন্ধ। । শ্বেত গঙ্গা অতিশয় পুণ্যপ্ৰদ তীৰ্থ মনে করিয়া প্ৰায় সকল তীর্থযাত্রীই এই তীৰ্থ দৰ্শন করেন। শ্বেত গঙ্গার তীরে শ্বেতমাধব