পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। প্ৰস্থাশ্রমী ও শূদ্র অথবা ইহাদের পুত্ৰগণ জগন্নাথদেবের পাকশালায় যাইতে পারে না, যদি কেহ যায়। তবে তৎক্ষণাৎ সে সমুদয় ভোজ্য দীর্ঘখাতে ফেলিয়া দিবে। দাক্ষিণাত্যের দেবমন্দির সমুহের ন্যায় পুরীতেও জগন্নাথদেবের . সেবার জন্য একদল দেবদাসী আছে-ধৰ্ম্মের সহিত এইরূপ পাপানুষ্ঠানের সুযোগ বড়ই ঘূণার বিষয়। এ সকল দাসীগণ ধৰ্ম্মের সহিত সংশ্লিষ্ট বলিয়া সমাজে বিশেষ রূপে আদৃত হইতেছে। পুরীর সার্বভৌমিক প্ৰসাদ গ্ৰহণ নীতির সহিত দাক্ষিণাত্যের দেবমন্দির সমূহের প্রসাদ গ্রহণনীতির একটু পার্থক্য আছে। এখানে যেমন ব্ৰাহ্মণ বল, চণ্ডাল বল সকলেই একত্র এক পংক্তিতে প্ৰসাদ গ্রহণ করিতে পারে ও এমনকি চণ্ডালও ব্ৰাহ্মণের মুখে প্ৰসাদ তুলিয়া দিলে তাহা তিনি বিনা। আপত্তিতে গ্ৰহণ করিতে বাধ্য;---- দাক্ষিণাত্যে তদ্রুপ নহে ;- সেখানে সকলেই প্ৰসাদ স্পর্শ করিতে পারে বটে, তাহাতে প্ৰসাদ অশুদ্ধও হয় না, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ ও চণ্ডাল এক পংক্তিতে বসিয়া কখনই ভোজন করিবে না । তাহা সেখানকার রীতি বিরুদ্ধ । আমরা পুরী হইতে কনারক রওয়ানা হইলাম। S88