পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vests S-see Nunung ছাইয়া ফেলিয়াছিল, ভাবিয়াছিলাম যে এই সমস্ত স্তুপ দেখিবার জন্য কেনই বা রাত্ৰি জাগিয়া পান্ধীর প্রীতি মধুর দোলানীর মধ্যে নানা ভঙ্গী সহকারে সর্লাঙ্গের ব্যায়াম করিতে করিতে এতদূর অগ্রসর হইলাম ! কিন্তু যখন গাড়ী নিকটে আসিয়া পহুছিল, - তখন এই জরাগ্রস্থ বৃদ্ধার লোলচাৰ্ম্মের অভ্যন্তরেও অতীত যৌবনের যে সৌন্দৰ্য্যের আভাস পাইলাম— সে রূপ বর্ণনা কবি-লেখনীর যোগ্য । সকলি গিয়াছে- কিন্তু যা কিছু অবশিষ্ট আছে তাহারি তুলনা কোথায় ? কানারক, সত্য সতাই তুমি ভারতবাসীর গৌরব স্থল। তোমার এ ভগ্ন শ্মশানের মধ্যে যে যৌবন শ্ৰীীর অপূর্বরূপলাবণ্যময় মহিমামণ্ডিত বিরাট শিল্পের আভাস পাই, তাহা বড়ই গৌরবের, আজ অপূৰ্ণ হৃদয় পূর্ণ হইল ! মনে হইল। ধন্য আমরা তাই বহু পুণ্যফলে হিন্দুর ঘরে ও পুণ্যময় ভারতে জন্মগ্রহণ করিয়াছি ! যাহারা বৈদেশিক শিল্লিগণের শিল্পকাৰ্য্য দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছেন তাহারা একবার তন্দ্রালিস নয়ন মুছিয়া একটু শারীরিক ক্লেশ সহ্য করিয়া এ স্থানে আসুন ! কনারকের সূৰ্য্য মন্দির হিন্দু শিল্পীর অতি আদরের জিনিষ, তাই প্ৰত্যেক হিন্দুরই একবার এ স্থানে আসিয়া এই বিরাট শিল্প মন্দির দর্শন করা কৰ্ত্তব্য। কে বলে হিন্দু শিল্পিগণ শারীর বিজ্ঞানে অজ্ঞ ? সঁহারা তাহা বলেন তঁাহারা আসুন। একবার এখানকার মন্দির গাত্ৰস্থ প্ৰতিমূৰ্ত্তি সমূহের সজীব ও স্বাভাবিক চিত্ৰ সমূহ দৰ্শন করুন ! সে কালের সামাজিক ব্যবহার --সে কালের ভক্তি বিশ্বাসের চিত্র, আমোদ প্ৰমোদ, অতীতের অন্ধ তমসাচ্ছন্ন কুহেলিকার অভ্যন্তর দিয়া বৰ্ত্তমান যুগে ও আমাদিগের নিকট পরিস্ফুট । অই যে নৃত্য পরায়ণ লোক গুলির চিত্ৰ খোদিত, উহাদিগকে দেখিয়া কি তোমার চিত্তে সেকালের প্রমোদৎসবের উন্মাদ উশৃঙ্খলতার চিত্ৰ হৃদয়ে প্ৰতিফলিত হয় না ? কত ঋষি, কত সিদ্ধ, ক'ত গন্ধৰ্দন, কত যক্ষ, কত রক্ষ, কত দিকপাল, কত লোকপাল, সকলই অতি নিপুণতার সহিত অঙ্কিত – দেখিয়া মনে হয় এই বুঝি কাৰ্যা করিয়া শিল্পিগণ বিশ্রামের জন্য বিশ্রামশালায় গমন করিয়াছে, আমরা অপেক্ষা করি এখানে আসিয়া পহুছিবে ! দেখিব তােহাৱা কেমন যন্ত্রের সাহায্যে এ সকল মূৰ্ত্তি খোদিত করিয়াছে, একবার কি সহস্ৰ বৎসরের পরে তাহাদিগকে এ স্থানে দেখিতে 86ło