পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাক্ষীগোপাল । চরিতামৃতে একটা অতি সুন্দর গল্প প্রচলিত আছে। আমরা এস্থানে সংক্ষেপে তাহা বিবৃত করিলাম। পূর্বকালে কাঞ্চী প্রদেশস্থ বিদ্যানগরবাসী দুইটা ব্ৰাহ্মণ তীর্থ পৰ্য্যটনে বাহির হন । উহাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ ও অপরটি যুবক। বয়োবৃদ্ধটি যুবক হইতে কুল, মৰ্য্যাদা ও বিদ্যা বুদ্ধিতে অনেকাংশেই শ্ৰেষ্ঠ ছিলেন । উভয়ে একত্র তীর্থ পৰ্য্যটনে বহির্গত হইয়া নানা তীর্থ দর্শনান্তর অবশেষে বৃন্দাবনধামে আসিয়া উপনীত হইলেন। বৃন্দাবনে পহুছিবার অব্যবহিত পরে বুদ্ধ বিপ্রের সে স্থানে সাংঘাতিক পীড়া হইল, যুবক ব্ৰাহ্মণ প্ৰাণপণে বৃদ্ধের সেবা ও শুশ্রুষা করিয়া তঁহাকে রোগমুক্ত করিলেন। যুবার এইরূপ অকপট সেবায় মুগ্ধ হইয়া বৃদ্ধ বিপ্ৰ কহিলেন “পুত্ৰেহো পিতার ঐছে না করে সেবন । তোমার প্রসাদে আমি না পাইলা শ্ৰম ! কৃতীত্নতা হয় তোমার না। কৈলে সম্মান। অতএব তোমারে আমি দিব কন্যাদান ৷” যুবা ব্ৰাহ্মণ বৃদ্ধ বিপ্রের এ কথা শুনিয়া কহিলেন “মহাশয় ইহা সম্পূর্ণ অসম্ভব, আপনি বিদ্যাধনাদিতে এবং কৌলীগ্যে আমা অপেক্ষা বহুশ্রেষ্ট, আমি অকুলীন ও বিদ্যাধনাদিবিহীন, অতএব ইহা কিরূপে সম্ভবপর ? আপনি নিজে স্বীকৃত হইলেই বা আপনার আত্মীয় বন্ধুবান্ধববর্গ কেন স্বীকৃত হইবে ? সকলের সম্মতি বিহনে আপনি কন্যাদানইবা কিরূপে করিতে পরিবেন ? যদি একান্তই আপনি আমাকে কন্যাদান করিতে ইচ্ছা করেন। তবে--- “গোপালের আগে কহ এ সীতা বচন ৷ গোপালের আগে বিপ্ৰ কহিতে লাগিল । তুমি জান নিজকন্যা ঞিহারে আমি দিল ৷ ছোট বিপ্ৰ কহে ঠাকুর তুমি মোর সাক্ষী । তোমা সাক্ষী বোলাব যদি অন্যতম দেখি ৷” উভয়ে দেশে প্রত্যাগমন করিয়া নিজ নিজ বাড়ীতে প্ৰস্থান করিলেন। বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ আত্মীয় বন্ধু বান্ধব ও স্ত্রী পুত্রের নিকট গোপালজীর সাক্ষাতে প্রতিজ্ঞা পূর্বক যে যুবা ব্ৰাহ্মণকে কন্যাদান করিয়াছেন সে কথা বললেন— Gy 8¢ዓ .