পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভিত্ৰিমণ । ভুবনেশ্বরের মন্দির নিকটে পহুছিয়া পাণ্ডার গৃহে বিশ্রামান্তে আমরা মন্দিরাদি দর্শন করিতে , বাহির হইলাম । ভুবনেশ্বরের উৎপত্তি সম্বন্ধে ভিন্ন পৌরাণিক ভিন্ন পুরাণে ভিন্ন ভিন্ন রূপ মত লিখিত আছে, সে সকল ইতিবৃত্ত। ভিন্ন ভিন্ন উপাখ্যানের প্রতি বিশেষ মনোযোগ না দিয়া একথা অনায়াসেই বলা যাইতে পারে যে অতি প্ৰাচীন কাল হইতেই ইহা প্ৰসিদ্ধ তীর্থরূপে পরিচিত হইয়া আসিতেছে। হিন্দু ধৰ্ম্মের আদি পুরাণ ব্ৰহ্ম পুরাণে লিখিত আছে যে-– “সৰ্ব্বপাপহরং পুণ্যং ক্ষেত্ৰং পরমদুর্লভম। লিঙ্গকোটি সমাযুক্তং বারাণসী সমপ্ৰভম৷ একামিকেতি বিখ্যাতং তীর্থাষ্টক সমন্বিতম৷” ইহা হইতে স্পষ্টই প্ৰতীয়মান হয় যে অতি প্ৰাচীনকাল হইতেই এ স্থান বারাণসীর ন্যায় পুণ্য প্ৰদ বলিয়া খ্যাতিলাভ করিয়া আসিতেছে। এই তীর্থের উৎপত্তি সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন পুরাণের উপাখ্যান সমূহ তুলিয়া দেওয়া অসম্ভব, এবং সে সকল যে পাঠকগণের পক্ষে ও বিশেষ তৃপ্তিদায়ক হইবে তাহা বিশ্বাস করি না, সেজন্য আমরা এস্থানে ‘স্কন্দপুরাণের’ উৎকালখণ্ডে যে বিবরণটি পাওয়া যায় তাহাই লিপিবদ্ধ করিলাম । তাহাতে আছে যে“পূর্বকালে ভগবান মহাদেব দেবী পাৰ্পশর্তার সহিত পশুরালয় হিমাদ্রি পর্দতে পৌরাণিক বাস করিতেন। --- সাঁতীকুল শিরোমণি দেবী ভগবতীও প্ৰাণSøssvissa | পণে তঁহাকে সেবা দ্বারা তৃপ্তি করিতেন। এক দিবস কতিপয় পুরললনা পতিসহ পাৰ্দ তীর এইরূপ নিয়ত সুখ সম্ভোগ্য দর্শনে কহিল “সতি ! তুমি অত্যন্ত সৌভাগ্যশালিনী রমণী, তোমার স্বামী বুদ্ধ হইয়াও ব্ৰহ্মচৰ্য্য পরিহার কারিয়া তোমার স্যায় রূপ-যৌবন-সম্পন্ন।” যুবতীর সহিত কালব্যাপন করিতেছেন, ... কবে তিনি বাটতে প্ৰত্যাবর্তন করিবেন ? পাৰ্বতী কহিলেন “আমি বহু তপস্যার বলে এই নিস্কুল ও নির্ধন বুদ্ধকে পতিরূপে লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছি, রাত্ৰি আসিলে আমি তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া এক মূহুৰ্ত্তও থাকিতে পারি না বলিয়া তিনি এ স্থানে অবস্থিতি করিতেছেন ।” এক দিবস মেনকাসুন্দরী কন্যা পার্লতাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন 898