পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর বা একামিকানন । “বৎস! তোমার পতির কোন গুণ আছে যে তাঁহাতে মুগ্ধ হইয়া তুমি তাহার অনুগ্ৰহলাভার্থ। এতদূর চঞ্চলা হইয়াছ ? তুমি উহার জন্য ব্যাগ্রি না হইয়া বসন ভূষণে অলঙ্কত হইয়া আমার গৃহে অবস্থান কর।” পতির প্রতি এইরূপ অপমানসূচক বাক্যে পতিপরায়ণ সাধৰী সতী দেবী পাৰ্বতী অত্যন্ত ব্যথিত হইয়া মহাদেবকে সমুদয় বৃত্তান্ত বিবৃত করিলেন । মহাদেব দেবীর কথায় আর এক মুহুৰ্ত্ত ও কালক্ষেপ না করিয়া বৃষভারোহণে মধ্যপ্রদেশে গমন করিলেন ও সর্পর্বতীর্থাদি পরিভ্রমণান্তর গঙ্গার উত্তর তীরে উপস্থিত হইয়া সে স্থানে উভয়ের বাস করিবার জন্য পরম রমণীয় পঞ্চক্রোশ পরিমিত বারাণসী তীর্থ নিৰ্ম্মাণ করিলেন এবং বহুকাল সেস্থানে অবস্থিতি করিয়া পরে কৈলাসধামে বাস করিতে লাগিলেন । এদিকে দ্বাপর যুগে কাশীধামে কাশীরাজ নামে একজন রাজা ছিলেন তিনি উগ্ৰ তপস্যা দ্বারা মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন। মহাদেব তাহার প্রতি সন্তুষ্ট হইয়া বর দিলেন যে আমি যুদ্ধকালে বৃষভারোহণে স্বয়ং তোমার পক্ষাবলম্বন করিয়া যুদ্ধ করিব।” এদিকে কোন সময়ে চক্রধারা বিষ্ণু কাশী নরপতির প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া তঁহাকে বধার্থ কাশীধামে চক্র নিক্ষেপ করিলেন, মহাদেব ও তদীয় ভক্তকে বিষ্ণুর চক্র হইতে রক্ষা করিবার নিমিত্ত প্রমথগণে পরিবেষ্টিত হইয়া সেস্থানে উপনীত হইলেন, কিন্তু হায় ! সুদৰ্শন চক্রের অমিত তেজ প্ৰভাবে ভূতপ্ৰেতগণ ধ্বংস হইতে লাগিল। —মহাদেব ও উপায়ান্তর না দেখিয়া পাশুপত অস্ত্ৰ নিক্ষেপ করিলেন। কিন্তু তাহা ও ব্যর্থ হইল। তখন মহাদেব নিরুপায় হইয়া বিষ্ণুর স্তব করিতে আরম্ভ করিলেন । তখন বিষ্ণু গরুড়োপরি শঙ্খচক্ৰ-গদা-পদ্মধারীরূপে আবিভূতি হইয়া মহাদেবকে কহিলেন “হে ধূর্জটি ! কেন তোমার এরূপ বুদ্ধি-বিপৰ্য্যয় হইল তাহা বুঝিতে পারিতেছি না, তুমি কোন সাহসে একজন সামান্য রাজার সহায়কারী হইয়া আমার সহিত যুদ্ধ করিতে আসিলে ? তুমি কি আমার প্রভাব অবগত নািহ ? তোমার পাশুপত অস্ত্ৰ দুজ্জয়, তাহা আমি স্বীকার করি, কিন্তু আমার ক্রোধারূপ চক্রের নিকট তুমিও উদ্ধার পাইতে পার না । তুমি বহু তপস্যা করিয়া। তবে আমার শরীরাংশ প্ৰাপ্ত হইয়াছ। যদি তুমি গৌরীর সহিত বাস করিতে চাও এবং কাশীধামকে রক্ষা করিতে ইচ্ছা কর—তবে আমার 8Wジ? Gtn