डाब्रड-डभ१ । । তাহার পাশ্বের একটী গুস্ফায় হিন্দুদেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ; সময় সময় এস্থানে শ্ৰীমন্তাগবত গীত পঠিত হইয়া থাকে। এই পাশ্বের গুম্ফায় বহু ভাস্কর কাৰ্য্যের চিহ্ন বিদ্যমান রহিয়াছে—এ স্থানে দশভূজা ও সর্বমঙ্গলা মূৰ্ত্তি বিরাজিত আছেন - কেহ কেহ বলেন যে, এ সকল হিন্দুদেবদেবীর মূৰ্ত্তি বৌদ্ধগণ কর্তৃক এই স্থান পরিত্যক্ত হইলে, হিন্দুগণ অঙ্কিত করিয়াছিলেন ; আবার কেহ কেহ বলেন, মহাযান বৌদ্ধগণ-কীৰ্ত্তকই এ সকল মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এ বিষয়ের আলোচনা দ্বারা কেহই কোনও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হন নাই । খণ্ডগিরি ও উদয়গিরি এই উভয় পবর্বতেই বহু গুম্ফা আছে, তবে খণ্ডগিরি হইতে উদয়গিরিতেই গুম্ফার সংখ্যা বেশী । আমাদের লিখিত চারিটী গুস্ফার একটু দূরেই একটা সিংহদ্বারের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়, এবং একটা সিংহমূৰ্ত্তি এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে। কথিত আছে যে, এই সিংহদ্বার কেশরীরাজ ললাটেন্দু নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। স্থানীয় লোকেরা বলিয়া থাকে, গভীর রাত্রে এ স্থানে তোপ- | ধ্বনি শুনিতে পাওয়া যায়। মহারাজা অশোকের রাজত্বের প্রায় একশত । বৎসর পূর্বে বৌদ্ধভিক্ষুগণ খণ্ডগিরি ও উদয়গিরির গুস্ফার মধ্যে বাস করিতেন । খ গুগিরির গুম্ফা অপেক্ষা উদয়গিরির গুম্মফাগুলিই অধিকতর সুন্দর ও বিস্তৃত। খণ্ডগিরিতে দুইটী শিলালিপি বিদ্যমান রহিয়াছে। এ অঞ্চলে এইরূপ কিম্বদন্তী প্রচলিত আছে যে, খণ্ডগিরি পূর্বে হিমালয় পৰ্বতের একটি অংশবিশেষ ছিল এবং উহার গুহাভ্যন্তরে ধ্যান্যপরায়ণ মহাতপস্বিগণ বাস করিতেন, পরে সেতুবন্ধনের সময় হনুমান এই পৰ্ব্বতখণ্ড হিমালয় হইতে উৎপাটন করিয়া এ স্থানে নিক্ষেপ করিয়া যান । । খগুগিরির শিখরদেশের জৈন মন্দিরাভ্যন্তরে মহাবীরের নগ্নমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। এই মন্দিরটি শতবর্ষ পূর্বে দিগম্বর সম্প্রদায়ভুক্ত কটক নিবাসী মঞ্জু চৌধুরী ও তদীয় ভ্রাতুষ্পপুত্র ভবান। দাদু কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। মন্দিরমধ্যস্থ মহাবীর নামক তীর্থঙ্করের ত্ৰিমূৰ্ত্তির প্রতিষ্ঠাও তঁাহারাই করিয়া গিয়াছেন। মন্দিরের প্রাচীরের গায়ে কত ব্যক্তি যে পেন্সিল ও অঙ্গার দ্বারা নিজ নিজ নাম, ধাম ও তারিখ লিখিয়া গিয়াছে, তাহার শেষ নাই। মন্দিরের বারান্দায় বসিয়া চতুর্দিকে দৃষ্টিপাত করিলে স্বভাবের 8-V