পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । পৃথক হইয়াছে সে স্থানে কাঠজুড়ির প্রসিদ্ধ বাঁধ প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন। কাঠজুড়ির বাধ বা এই বঁধ দৈর্ঘ্যে প্ৰায় দুই মাইল এবং উচ্চতায় ^"*" | ২৫ ফিট, বলা বাহুল্য যে ইহা প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত। বঁধের দৃঢ়তা বিশেষ প্ৰশংসনীয়। প্ৰায় সহস্ৰ বৎসর অতীত, হইয়া গিয়াছে, কিন্তু এখনও অক্ষত দেহে ইহা বিরাজিত থাকিয়া কটক সহরকে জলপ্লাবন হইতে রক্ষা করিয়া প্ৰাচীন ভারতের অপূর্ব শিল্পনৈপুণ্যের পরিচয় দিতেছে । কটকে একটী প্ৰাচীন দুর্গ দেখিতে পাওয়া যায়, ইহার নাম বড়বাটী দুৰ্গ। এই দুর্গ মহারাজা অনঙ্গভীম কর্তৃক চতুৰ্দশ শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত হয় ও পরে ১৭৫০ খ্ৰীষ্টাব্দে আহম্মদ সাহের শাসন সময়ে ইহার উত্তর পশ্চিম দিকের প্রাকার ও পূর্বদিকের তোরণ দ্বার নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। দুর্গটি স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র দুইটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত, ইহার চতুর্দিকে পরিখা এবং একটী উচ্চ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত স্তম্ভ আছে, পূর্বে এই স্তম্ভের উপরে বিজয় পতাকা উডতীয়মান থাকিত। আইন-ই-আকবরী পাঠে অবগত হওয়া যায় যে পূর্বে এখানে । নৃপতি মুকুন্দদেবের নয়তালা অতি সুন্দর ও উচ্চ প্রাসাদ বিদ্যমান ছিল,— কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে তাহার সামান্য কোনও চিহ্ন বিদ্যমান নাই। দুর্গের চতুর্দিকস্থ সুবিস্তৃত প্ৰান্তরকে বড়বাটীর প্রান্তর কহে। আইন-ই- আকবরীতে মুকুন্দদেবের নিৰ্ম্মিত নয়তালা প্ৰাসাদের সম্বন্ধে লিখিত আছে যে “ইহার সর্বনিম্ন তলায় হস্তী অশ্ম ও উষ্টাদি বাস করে, দ্বিতলে যুদ্ধসংক্রান্ত সমুদয় দ্রব্যাদি তাহার রক্ষকগণ, তৃতীয় তলায় প্রহরী এবং অনুচরবর্গের বাসস্থান, চতুর্থতলায় শিল্পীগণ, পঞ্চম তলায় রন্ধন-শালা, ষষ্ঠতলে রাজসভা, সপ্তম তলে গোপনীয় রাজকাৰ্য্যাদি নির্বাহ হইত, অষ্টম তলে পরিবারস্থ স্ত্রীলোকগণ অর্থাৎ অন্দর মহলরূপে ব্যবহৃত হইত এবং নবম তলায় মহারাজা স্বয়ং বাস করিতেন আবুল ফজলের এই বর্ণনা হইতে অনুমান হয় যে তিনি ইহার সম্বন্ধে উত্তমরূপে অবগত ছিলেন।*।। জয়পুরে এবং বিজাপুরে সপ্তাতল প্রাসাদ এখনও বিদ্যমান আছে, ফতেপুর সিক্রীতেও क८कद्र छ्त्रै ।

  • ‘Ayeen Akbery," Gladwin's translation, Vol. II, p. 13.