পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । বলিয়া বিশ্বাস করিয়া থাকেন। আমরা যাজপুরের প্রাচীন কীৰ্ত্তির মধ্যে বৈতরণী তটস্থ বরাহনাথের মন্দির ও অষ্টমাতৃকার মণ্ডপ সম্বন্ধে দুই একটী কথা বলিব, পূর্বেই বিরজা দেবীর মন্দির ও দশাশ্বমেধ ঘাটের কথা লিপিবদ্ধ করিয়াছি। এই দেব মন্দির খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে মহারাজা প্ৰতাপ রুদ্র কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এ স্থানে গো-দান করিলে আর বৈতরণী পারের ভয় থাকে না । এখন গো-দানের পরিবর্তে মূল্য স্বরূপ পঞ্চমুদ্রা দান করিলে গোদানের ফললাভ হইয়া থাকে। বরাহনাথের মন্দিরের পাদদেশেই বৈতরণীর তীরে দশাশ্বমেধ ঘাট অবস্থিত । বৈতরণীর অপর তটে অষ্টমাতৃকার মণ্ডপ অবস্থিত। এস্থানে আটটী অষ্ট মাতৃকাৰ পাষাণ নিৰ্ম্মিত দেবীমূৰ্ত্তি বিরাজিত আছেন। এই মূৰ্ত্তি মণ্ডপ । সমূহ সাধারণ মনুষ্যকৃতি অপেক্ষা অনেকটা উচু, নীলবৰ্ণ প্রস্তর দ্বারা বিনিৰ্ম্মিত তাহদের গঠন নৈপুণ্যের মধ্যে শিল্পচাতুৰ্য্য অনুভূত হয়। ইন্দ্ৰানী, বৈষ্ণবী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, ব্ৰাহ্মণী, বারাহী, চামুণ্ডা ও ছায়া এই অষ্ট মূৰ্ত্তি মণ্ডপ মধ্যে অধিষ্ঠিতা আছেন। এতদ্ব্যতীত বৈতরণী নদীর তীরে কালী, শচী, বিমলা, লক্ষী, সাবিত্রী, পাৰ্বতী প্ৰভৃতি বহু দেবীমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। পূর্বে যাহারা পদব্রজে শ্ৰীক্ষেত্রে গমন করিতেন, তাহারা সকলেই যাজপুরের এ সমুদয় দেব মন্দিরাদি দর্শন করিয়া যাইতেন, কিন্তু রেল হওয়ার পর হইতে এ স্থানে যাত্রিসংখ্যা খুব কম হয়। র্যাহারা হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী তাঁহাদের অবসর ও সুযোগ মিলিলে এ সকল হিন্দুর প্রাচীন কীৰ্ত্তিকলাপ আতি অবশ্য দর্শন করা ऐठडि । পৌরাণিক মতে যাজপুর অত্যন্ত পৌরাণিক তীর্থ। মহাভারতেও । লিখিত আছে যে, পঞ্চ পাণ্ডবগণ এ স্থানে তীর্থেদেশে আগমন করিয়াছিলেন ধ্রু ইহাই পুরাণের বিরজাক্ষেত্র। কপিল সংহিতায় ও ব্ৰহ্মপুরাণে এ স্থানের মাহাত্ম্য বিশেষরূপে লিখিত আছে। স্বয়ং ব্রহ্মা বলিয়াছেন,- वन्द्रश्न८ब्र भन्द्रि ।

  • মহাভারত বন পর্ব (১১৪ অধ্যায়) । ।

(ebro „ტრიპ