পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরজে যে মম ক্ষেত্রে পিণ্ডদানং করে।াতি বৈ । । স করোত্যক্ষয়াং তৃপ্তিং পিতনাং নাত্ৰ সংশয়ঃ। মম ক্ষেত্রে মুনিশ্রেষ্ঠা বিরজে যে কলেবরম। এ ۰. পরিত্যজন্তি পুরুষাস্তে মােক্ষং প্রাপ্নবন্তি বৈ৷ (ব্র, পু, ৪২ অ,) অর্থাৎ যে ব্যক্তি এই বিরজা ক্ষেত্রে পিণ্ডদান করে, সে ব্যক্তি তাহার পিতৃলোকের অক্ষয় সন্তোষ সম্পাদন করিতে সমর্থ হয় এবং যে ব্যক্তির এস্থানে মৃত্যু হয়, সে অনায়াসে মোক্ষলাভ করে। কপিল সংহিতায়ও এইরূপ খ্যাতি লিপিবদ্ধ আছে। অতএব তীর্থ হিসাবেও যাজপুরের প্রতিপত্তি কম নহে । আমরা যাজপুর দর্শনান্তে আবার মাতৃভূমির শ্যাম স্নিগ্ধ স্নেহাঞ্চলে । फिदिशा डानिव्लाभ । ७ख्युिद्ध ՓitԵioï হিন্দু কীৰ্ত্তি সমূহ, দর্শনে হািদয়ে । , যে অনির্বচনীয় আনন্দ লাভ করিয়াছিলাম তাহা ভাষায় ব্যক্ত করার । প্রয়াস বৃথা। ভারতের যাহা কিছু প্ৰাচীন এবং শিল্প কারুকাৰ্য্যসম্পন্ন তাহাই দেবোদেশে নিৰ্ম্মিত, ইহা অপেক্ষ ভারতবাসীর ধৰ্ম্ম প্রবণতার আর কি অধিক পরিচয় হইতে পারে জানি না। বৰ্ত্তমান সময়ে বাষ্পীয় শকটের অনুগ্রহে ওড়িষ্যা অতি নিকটত্তী হইয়া পড়িয়াছে--বিশেষ ওড়িষ্যা-ভ্ৰমণে বহু ব্যয়েরও প্রয়োজন হয় না। সর্বশ্রেণীর লোকেরই ইহা করায়ত্ব। ওড়িষ্যাবাসী দিগকে ‘উড়ে এক জন্তু’ এই ঘূণাসূচক বাক্য প্রয়োগ . করিয়া আমরা নিজ জাতিয় সংকীর্ণতার পরিচয় দিলেও—এককালে যে ইহারা কতদূর উন্নত ও বীরজাতি ছিল, তাহ ইতিহাসজ্ঞ পাঠকবর্গ মাত্রই অবগত আছেন। ওড়িষ্যাবাসী দিগকে ঘৃণা করিবার ক্ষমতা আমাদের নাই, তাহাদের যাহা আছে, তাহ আমাদের নাই। একখণ্ড সামান্য প্রস্তর খণ্ডের মধ্যে যে অপূর্ব শিল্প-নিপুণতা ও মৌলিকতা আছে সারা বাঙলা দেশেও তাহা দুস্তপ্রাপ্য। প্রাচীন ভারতের অতুল শিল্পেশ্বৰ্য্যের ভাণ্ডার যে কত বৃহৎ কত উন্নত ও কত সমৃদ্ধিশালী ছিল, পাঠক! যদি তাহা অনুভব করিতে চাও, তৰে ওড়িষ্যায় যাও। যাহা দেখিবে তাহাতেই বিমুগ্ধ হইবে। ওড়িষ্যার একাম্রকাননের যে সমুদয় মন্দির জঙ্গলাকীর্ণ ও পরিত্যক্ত হইয়া রহিয়াছে যদি তাহার একটাও বঙ্গদেশে থাকিত তাহা হইলে Gł o S.