পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালটেয়ার পরিচিত কুসুম বৃক্ষে এ স্থানটিকে দিব্য সুষমাময় করিয়া তুলিয়াছে। প্রস্ফুটিত চাপা, গোলাপ, করবী এবং বিবিধ অপরিচিত কুসুম-স্তবক ধীর পবনে দুলিতেছিল, ক্লান্তি দূরীকরণার্থে এখানে একটু উপবেশন করিলাম। নির্বর-শীকার-সিক্ত শীতল সমীরণ কুসুম-সৌরভ। বিতরণ করিয়া হৃদয়ে ও দেহে নবীন সজীবতা দান করতঃ বহিয়া যাইতেছিল ; মাঝে মাঝে বানান্তরাল হ’তে দু’ একটা বিহঙ্গ গাহিয়া গাহিয়া থামিয়া যাইতেছিল, প্ৰফুল্ল বাত্যান্দো লিত কুসুম-স্তবক দেখিয়া বহুদিন বিশ্রুত রবি কবির সেই সঙ্গীতটি মনে হইতেছিল, “তোরা দেখে যা-দেখে যা-দেখে যা লো সাধের কাননে মোর, সেথা মলয় বহিছে সৌরভ লুটিয়া রে।” সীমাচলের যে সোপানারোহণে আমাদিগকে রীতিমত কষ্ট সহ্য করিতে হইয়াছিল, দেখিলাম সে সমুদয় সোপানাবলীই এ দেশীয় নিম্ন শ্রেণীস্থ রমণীগণ শিশুপুত্ৰ ক্ৰোড়ে এবং কাষ্ঠের বোঝা মাথায় লইয়া অবলীলাক্রমে অতিক্ৰম করিতেছে। অভ্যাসের এমনি অত্যাশ্চৰ্য্য শক্তি বটে। ওয়ালটেয়ারে গভমেণ্টের একটী দ্বিতীয় শ্রেণীর অবজারভেটরি আছে। এ দেশীয় মহিলাদের মধ্যে বিশেষ স্বাধীনতা আছে বলিয়া বোধ হইল ; কারণ রাজপথ দিয়া বহু স্ত্রীলোককে অনবগুণ্ঠনও দিব্য সতেজ ভাবে যাতায়াত করিতে দেখিলাম । ইহাদের শরীর সুগঠিত, দৃঢ় এবং বেশ বিন্যাস ও রমণীয়। প্রত্যেকের মুখেই স্বাস্থ্য ও প্ৰফুল্লতার চিহ্ন বিরাজমান। এ দেশের রমণীগণের ন্যায় কণ্ঠে, বাহুতে ও কটিদেশে অলঙ্কার পরিধান করে। অলঙ্কার গুলিও সুদৃশ্য এবং সুন্দর ; জুবিলি টাউনহল, কিন্তু ইহারা নাসিকায় যে অলঙ্কার পরিধান করে তদ্বারা ক্লাবঘাট বা স্ক্যাণ্ডাল মুখ মণ্ডলের সমুদয় সৌন্দৰ্য্য नशे छ्शू दक्लिष्ट्रांझे छाष्ट्र ******" | বিশ্বাস; তবে দেশভেদে রুচিভেদ, একথাও ঠিক। ভিজিগাপত্তনের সমুদ্র তটে ভিক্টোরিয়া জুবিলি টাউন হল অবস্থিত। এই টাউনহলটি । ওয়ালটেয়ারের অদূরবর্তী ববৃলির মহারাজা ৩২০ ০০ সহস্ৰ মুদ্রা ব্যয়ে নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। এই গৃহে ভাইজাগ ক্লাব অবস্থিত। এ স্থানে অধিবাসী রমণীগণ । ܬܠ f)