পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vetsu-tae ১৭৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দে নবাব আবদুল বাহাব খী ঐ দুর্গের অধিপতি ছিলেন। ১৭৮২ খ্ৰীষ্টাব্দে হায়দার আলী। ঐ দুর্গ জয় করেন এবং ১৭৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে শ্ৰীরঙ্গপত্তনের সন্ধির পূর্ব পৰ্য্যন্ত উহা মহীশূরের অধীন ছিল। চন্দ্ৰগিরিতে বহু দ্রষ্টব্য পদার্থ আছে। তন্মধ্যে প্ৰাচীন দুগের ভগ্নাবশেষ t এবং রাজপ্রাসাদের নিম্নতলস্থ দুইটী কক্ষ বিশেষরূপে দর্শনীয়। ১। প্ৰাচীন দুৰ্গ—এই দুর্গটি চতুর্দিকস্থ নিম্নভূমি হইতে ৬০০ শত ফিট উচ্চ স্বতন্ত্র একখণ্ড সুবিশাল গ্রেনাইট প্রস্তরের ক্ষুদ্র গিরি-শেখরে বিনিৰ্ম্মিত । এই ক্ষুদ্র পাহাড়টিকে অধিকতর সুরক্ষিত ও দুর্ভেদ্য করিবার জন্য দুইটী গ্রেনাইট প্রস্তরের সুকঠিন প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত করা হইয়াছিল। যে যে স্থানে পর্বত গাত্র খাড়া উচু এবং সম্পূর্ণরূপে দুরারোহ, কেবল সেই সেই স্থানে গড়বন্দি করা হয় নাই। এই গিরির তুঙ্গ শৃঙ্গোপরি এখনও কয়েকখানা ছোট ছোট অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ, একটী ক্ষুদ্র পুষ্করিণী এবং পূর্বদিকের এক স্থানে একটা উচু ঘণ্টা পিটাইবার স্থান দেখিতে পাওয়া যায়। কালের কি বিচিত্ৰ লীলা, যে স্থানে একদিন শত শত সৈন্যগণ সশস্ত্র ও সুসজ্জিত থাকিত, প্ৰতি দ্বারে দ্বারে প্রহরী থাকিত, নানাপ্ৰকার উৎসবে ও উল্লাসে দিন রাত প্ৰমোদিত থাকিত এখন তাহা নীরব ও বিজন । দুর্গপ্রাকারে দাড়াইয়া যেদিকেই দৃষ্টিপাত কর না কেন সেদিকেই ছোট বড় গিরিশ্ৰেণী ও নারিকেল বৃক্ষের সারি দৃষ্টিপথে পতিত হইবে। নিম্নভূমির দুর্গটি অভ্যন্তরস্থ প্রচীর দ্বারা তিন ভাগে বিভক্ত। দরবার মহল, রাণীমহল ইত্যাদি প্রকোষ্ঠগুলি এখনও বিদ্যমান আছে। যে গৃহে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীকে মান্দ্ৰাজ প্ৰদান করিবার সন্ধিপত্র সর্বপ্রথমে লিখিত হয়। তাহা এখনও বিদ্যমান আছে। তাহাদের অধিপতিবৃন্দগণ এখন কোথায় ? চন্দ্ৰগিরির ধ্বংসাবশেষ দৃশ্যগুলি বড়ই মনােরম। খোদিত প্ৰস্তর মুক্তি এবং স্তন্ত ইত্যাদি বহু পরিমাণ এখনও বিদ্যমান আছে। ধ্বংসাবশিষ্ট গপুরামের নিম্নাংশ দেখিলে প্রতীয়মান হয় যে সময়ে ইহা অত্যন্ত সুন্দর ও উচ্চ ছিল, কিন্তু কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাহা এখন ভগ্নদেহ লইয়া কেবল প্রাচীনের সাক্ষীস্বরূপ বিরাজমান। এ নগরে সরকারি আফিস, জেল, ডাকঘর, স্কুল ইত্যাদি বৰ্ত্তমান সভ্যতা ও শিক্ষার উপযোগী সমুদয় আছে । 3 gţa l அ