পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপতি । যাতায়াত করিতে পারে, কিন্তু ইহার পর হিন্দু ভিন্ন অপর কোন জাতির প্রবেশাধিকার নাই। এখান হইতেই পৰ্বতারোহণের সিঁড়ি আরম্ভ। এই সোপানশ্রেণী এক মাইল লম্বা ও ভূমির সমতল ভাগ হইতে প্ৰায় এক হাজার ফিট উচ্চ হইবে। সিঁড়ির এক পার্শ্বে কিছু উচ্চে দুইটি কৃপ আছে, একটার জল উষ্ণ ও অপরটার জল শীতল। এই আরোহণের পথে স্থানে স্থানে পরিশ্রান্ত পথিকগণের বিশ্রামার্থ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মণ্টপম ইত্যাদি আছে, তাহাতে যাত্ৰিগণ ইচ্ছানুযায়ী বিশ্রাম করিয়া থাকেন। এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক যে যাহারা পর্বতারোহণে অশক্ত, তাহদের পূর্বাহ্নেই ডুলি সংগ্ৰহ করা আবশ্যক, উচ্চ ত্ৰিপতিতে ও নিম্ন ত্ৰিপতিতে যাতায়াতের জন্য জন প্রতি ৩৭ আনা করিয়া ডুলি ভাড়া পড়ে। আমরা ডুলিতেই পৰ্বতারোহণ করিয়াছিলাম। সিড়ি গাত্রে অনেকেই নিজ নিজ নাম ধাম খোদিত করিয়া আইসেন ; হায় ! মানুষ নিজকে নশ্বর জগতে অবিনশ্বর করিবার জন্য কত ব্যাকুল ! এ পথে এক প্রকার লোক আছে তাহারা যান্ত্রিগণকে স্বীয় স্বীয় নাম খোদিত করিবার জন্য অনুরোধ করে, আমরাও ইহাদের মিনতিতে স্বীয় স্বীয় নাম খোদাই করাইলাম ; প্ৰতি অক্ষর এক পয়সা । সিঁড়ির সর্দের্বাচ্চ স্থানের গোপুরামটি “গালি” গপুরাম নামে খ্যাত। এই গোপুরামের পশ্চাতে বৈকুণ্ঠ নামক মন্দিরে রামকৃষ্ণের মূৰ্ত্তি বিরাজমান। বৈকুণ্ঠ মন্দিরের ঈশানকোণে একটা গুহা আছে তাহাও বৈকুণ্ঠ গুহা নামেই পরিচিত ; কথিত আছে যে শ্ৰীরামচন্দ্ৰ শ্ৰী শৈলে আগমন কালে এই গুহায় অনুচরগণসহ আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । এখান হইতে ব্যঙ্কটেশ্বর যাইবার পাকা পথ আছে । পৰ্ব্বতোপরিস্থিত উচ্চ ত্ৰিপতি নগরটা অতি ক্ষুদ্র। ইহা স্বামীতীর্থের ব্যঙ্কটস্বামী ও বরাহস্বামীর চতুর্দিকে অবস্থিত। হিন্দু ভিন্ন অপর কোন জাতির এস্থানে বাস করিবার নিয়ম নাই । জন-সংখ্যা পনের ষোল শতের অধিক হইবে না । যাত্ৰিগণের থাকিবার জন্য এস্থানেও ছত্ৰ আছে, এ সমুদয় ছত্ৰ মহীসুর, কোচীন, কালহস্তী ও ব্যঙ্কটগিরির জমিদারগণ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন । মন্দিরের পাশ্বে সহস্ৰ স্তম্ভ মণ্ডপ অবস্থিত, স্তম্ভ সমুহের কারুকাৰ্য্য অত্যন্ত সুন্দর। রাস্তার দিকে তাহার डफ़ खि°ठि । Gł89