পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারনাথ। of Indian and Eastern Architecture, page 67.) পূর্বে যে ‘চৌখাণ্ডি' নামক ইন্টক-নিৰ্ম্মিত অট্টালিকার বিষয় বলিয়াছি, উহার সহিত ৩০০০ × ১০০০ ফুট সারঙ্গতাল ও চন্দ্ৰাতপ বাহির হইয়াছে বটে ; কিন্তু তাহার সহিত কোনও খোদিতলিপি বাহির হয় নাই। জেনােরল কানিংহাম ও কিটো প্ৰভৃতির অনুসন্ধানের পর সারনাথ সম্বন্ধে কোনও অনুসন্ধান না হওয়ায়--তাহারা যে সকল দ্রব্যাদি। আবিষ্কার করিয়াছিলেন, তাহাও লুপ্তপ্ৰায় হইয়াছিল ; কিন্তু বিগত ১৯০৪-৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ভারতের ভূতপূর্ব শাসনকৰ্ত্ত লর্ড কজ্জনের অনুমন্ত্যানুসারে পুরাতত্ত্ব-বিভাগের মিঃ এফ, ও, অটেলের তত্ত্বাবধানে সারনাথের বহুস্থান খনিত হইয়া যে সকল দ্রব্যাদি আবিষ্কৃত হইয়াছে—তাহা ভারত ইতিহাসের বহু পৃষ্ঠ উজ্জ্বল করিবে, ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। সারনাথে মহাত্মা শাক্যসিংহ কর্তৃক সর্বপ্রথমে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বাৰ্ত্তা ঘোষিত হইয়াছিল,—একথা পূর্বেই বলিয়াছি। বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী সম্রা অশোক এই ঘটনা চির-স্মরণীয় করিয়া রাখিবার জন্য যে স্তম্ভ স্থাপিত করিয়াছিলেন, আর্টেলের কৃপায় তাহা এখন লোক-লোচনের গোচরীভূত হইয়াছে। এই স্তম্ভটী ভগ্নাবস্থায় পাওয়া গিয়াছে, ইহার গাত্রে যে ৯ ছত্র অশোকলিপি খোদিত ছিল, তাহাও বহুপরিমাণে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। সম্রাট অশোক এই খোদিতলিপিতে দেবানাম প্রিয় বলিয়া সম্বোধিত হইয়াছেন । এই অনুসন্ধানে, মহারাজা অশ্বঘোষের রাজত্বকালীন একখানা লিপিও পাওয়া গিয়াছে। ভগ্ন-স্তম্ভের শিরোভাগ উহার সম্মুখেই পাওয়া গিয়াছে। এই স্তম্ভাগ্রভাগের উপরে যে চারিটি সিংহমূৰ্ত্তি দেখিলাম, তাহা নিতান্ত বিস্ময়কর। দুই হাজার বৎসরেরও অধিক কালের প্রাচীন হইলেও এই সিংহগুলির গঠননৈপুণ্য-স্তম্ভগাত্রে খোদাই, সিংহের সেই তরঙ্গায়িত কেশর, চক্ষু ও মুখের স্বাভাবিক ভঙ্গদর্শনে বৰ্ত্তমান ইয়ুরোপীয় শিল্লিগণও প্ৰশংসা না করিয়া থাকিতে পারেন নাই। ভারতবর্ষীয় শিল্পিগণ এককালে যে | স্থপতিবিদ্যায় কতদূর উন্নত ও বিচক্ষণ ছিলেন, এ সকল ভগ্নাবশেষ হইতে তাহার প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাওয়া যায়। চৈনিক পরিব্রাজক হিউএনসিয়া।।১ সপ্তম শতাব্দীতে এই স্তম্ভ দেখিয়া যাহা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, তাহা स्रgआकर्डस्छ । RS