পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । হইতেই পাঠকগণ হৃদয়ঙ্গম করিতে পরিবেন যে, সে সময়ে ইহার শিল্পসৌন্দৰ্য্য কতদূর শ্ৰেষ্ঠ ছিল। তিনি লিখিয়াছেন “ মহারাজা অশোকের স্তপের কাছে জেড় নামক মূল্যবান মৰ্ম্মর-প্রস্তরের আভাযুক্ত ৭০ ফুট উচ্চ একটা স্তম্ভ আছে ; উহার অভ্যন্তর হইতে একপ্রকার উজ্জ্বল আলো বাহির হইয়া থাকে। যে ব্যক্তি আন্তরিক ভক্তি ও বিশ্বাসের সহিত এ স্থানে প্রার্থনা করে, সে তাহার অভীষ্টানুযায়ী সুফল এই স্তম্ভগাত্ৰে প্ৰতিবিম্বিত দেখে। এ স্থানেই বুদ্ধদেব সর্বাগ্ৰে দিব্যজ্ঞানালোক লাভ করিয়া ধৰ্ম্মচক্ৰ ঘূর্ণিত করিয়াছিলেন।” এই স্তস্তের সহিত একটী প্ৰকাণ্ড প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত ছত্ৰদণ্ড ও একটা বৃহৎ বুদ্ধমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে—এই উভয়ের গাত্রে যে খোদিতলিপি আছে, তাহা হইতে জানা গিয়াছে যে, খ্রীষ্টের জন্মের একশত বৎসর-পরবর্তী রাজা কনিষ্কের রাজ্যশাসনকালে এ সকল সংস্থাপিত হইয়াছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ইহাও ঠিক করিয়াছেন যে, খরিপল্লন ও বানিস্পর নামক দুইজন বৈদেশিক রাজা কর্তৃক ইহা সংস্থাপিত হয়। ছত্ৰদণ্ডটির সম্মুখস্থ ভূভাগ খনন করিয়া ছত্ৰটীও পাওয়া গিয়াছে, এই ছত্রের বৃহত্ব ও - ১৯০৫ খ্ৰীষ্টাব্দে হুমায়ুনস্তম্ভের নিম্নস্থ খনিত অংশ । সৌন্দৰ্য্য বিশেষ প্ৰশংসনীয়। ইহার অভ্যন্তর ভাগের বিবিধ কারুকাৰ্য্যাদি ধৰ্ম্মের কোনও রূপ সাঙ্কেতিক চিহ্ন বলিয়া পণ্ডিতমণ্ডলী অনুমান করেন। Vo