পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেডুলোর । করিলাম ; তিনিও বিশেষ সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারিয়া স্বীয় অনভিজ্ঞতা প্ৰকাশ করিলেন । এই মান্দ্ৰাজী ভদ্রলোকটী ডাকঘরে কাজ করেন, দিব্য ইংরেজী বলিতে পারেন, আমার সহিত ইহার ইংরেজীতেই কথাবাৰ্ত্ত হইতেছিল ; মান্দ্ৰাজে। এই একটা সুবিধা যে রাস্তার কুলি পৰ্য্যন্তও মোটামুটি এক রকমে ইংরেজীতে কথাবার্তা বলিতে পারে। ইনিও কেন্ডুলোরে নামিলেন, আমাদের অনুরোধে এই ভদ্রলোকটী আমাদের সঙ্গী হইলেন, কারণ তেলেগু ভাষায় আমরা সুপণ্ডিত । গ্রামবাসী অজ্ঞ জনসাধারণের নিকট হইতে কোনও বিষয় জ্ঞাত হইতে হইলে তাঁদেশবাসী ব্যক্তি ব্যতীত অপরের পক্ষে তাহা অসম্ভব । কাজেই এই ভদ্রলোকের সাহায্যে আমাদের সে অভাব ঘুচিবার সম্ভাবনা রহিল। আমাদের যখন নগর দেখা শেষ হইল, তখন চাহিয়া দেখি দূরে পাহড়ের কোলে সূৰ্য্যদেব অস্ত যাইতেছেন ; চারিদিকে অন্ধকার ঘনাইয়া আসিতেছে । আমার মাথায় কোন খেয়াল চাপিলে তাহা শেষ না করিয়া । ক্ষান্ত হওয়া আমার কুষ্ঠিতে লেখা নাই, কাজেই বন্ধু বান্ধবগণের বাধা বিস্ত্ৰ না শুনিয়া একখানা গো-শকটে প্রায় দুই তিন মাইল দূরবত্তী গ্রামাভিমুখে গো-যানের সেই ধীর মন্থর গমনের সহিত দিব্য ব্যায়াম করিতে করিতে অগ্রসর হইতে লাগিলাম । আমার নব পরিচিত মান্দ্ৰাজী বন্ধুটি কিন্তু বড়ই বিব্রত হইয়া পড়িয়াছিলেন, তিনি বারেবারেই বলিতেছিলেন “মশায়, কাজটা ভাল করিতেছেন না, অপরিচিত স্থান, চোর-ডাকাতের ভয় খুব বেশী, ফিরে যাওয়াই ভাল।” আমি তঁহার এই অযাচিত উপদেশের জন্য ধন্যবাদ প্ৰদান করিয়া বলিলাম “আপনি এ দেশী, আপনার ভয় কি ? আমরা অপরিচিত বহুদূর দেশবাসী, বরং আমাদেরই প্ৰাণটা যাইবে ; জগদীশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মানুষের হাত কি বলুন ?” ভায়া আর কোনও বাক্যস্ফীৰ্ত্তি করিলেন না, চুপ করিয়া গাড়ীর এক ধারে বসিয়া রহিলেন, বােধ হয় তিনি আমাদের অপরিণামদৰ্শিতার কথাই ७तिहरूङछिgव्लन्म । এতক্ষণ চতুর্দিক লক্ষ্য করিবার সময় পাই নাই, এখন চাহিয়া দেখি চারিদিকে অন্ধকারের রাজত্ব । মাথার উপরে সুনীল আকাশে আমাদেরি ¢ፃ »