পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

하 - 1 নায়ক ইহার নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য সম্পূৰ্ণ করিয়া যাইতে পারেন নাই। মাদুরায় কিংবদন্তী যে, সুন্দরেশ্বর দেব ভক্ত তিরুমালকে বৎসরে দশ দিবস করিয়া দর্শন দিতেন। চারি সারি স্তম্ভের উপর ছাদ । এই স্তম্ভাবলীর মধ্যবৰ্ত্তী পাঁচটা স্তম্ভের মধ্যে নায়ক-বংশোস্তব দশ জন রাজার প্রতিমূৰ্ত্তি খোদিত । তিরুমাল নায়কের মূৰ্ত্তির মস্তকের উপর চাঁদোয়া। তঁহার বাম পার্শ্বে তদীয় সহধৰ্ম্মিণী তাঞ্জোর-রাজকুমারীর মূৰ্ত্তি। রেলওয়ে ষ্টেসনের প্রায় দেড় মাইল পশ্চিমে তিরুমাল নায়কের রাজপ্ৰাসাদ এখনও বিদ্যমান আছে। রাজপ্রাসাদের স্তম্ভ প্ৰভৃতি গ্ৰাণাইট প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বৰ্ত্তমান সময়ে এ স্থানে জজ-আদালত ও গভমেণ্টের অন্যান্য আফিস হইয়াছে। ভৈগৈ নদীর তীরে নগরের দক্ষিণে একটি অট্টালিকা দেখিলাম, ইহার নাম তমকামী। তিরুমাল নায়ক ইহা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। পূর্বে এ স্থানে রোম দেশের (Gladiator) গ্র্যাডিয়েটার ক্রীড়ার ন্যায় বন্য হিংস্ৰ জন্তুর সহিত অস্ত্ৰক্ৰিীড়কগণের যুদ্ধ হইত। বর্তমান সময়ে এই অট্টালিকায় স্থানীয় কালেক্টার বাস করেন । ষ্টেশনের তিন মাইল উত্তরে একটী “তিপ্লাকুলাম” (পুষ্করিণী) আছে। এই জলাশয়ের মধ্যস্থলে একটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্দির ও তাহার চারি ধারে চারিটি প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুন্দর স্তম্ভ। এই পুষ্করিণী রাজভবন হইতে পূর্ব-উত্তরে দেড় মাইল দূরে অবস্থিত। ইহার প্রত্যেক দিক ১২০০ গজ দীর্ঘ। চতুর্দিকে উৎকৃষ্ট গ্ৰাণাইট প্রস্তরে গঠিত সোপানাৰলী। সর্বোপরি গ্ৰাণাইট প্রস্তর নিৰ্ম্মিত একটী কলস। পুষ্করিণীর মধ্যস্থলে মনোহর উপদ্বীপ। সেই উপদ্বীপের চারি দিকও প্রস্তরে মণ্ডিত। দ্বীপের মধ্যস্থলে সুন্দর দেবমন্দির। তাহার চারি কোণেও চারিটীি ক্ষুদ্র, সুন্দর, শিল্পচাতুৰ্য্যময় দেবমন্দির। এই দেবনিকেতন দুই মহল। মধ্যস্থলে পথ । তাহার উভয় পার্শ্বে নানাবর্ণের লতাগুল্ম। মন্দিরের উৎসবের সময় একদিন এই দেবালয় ও পুষ্করিণীর চারি দিকে এক লক্ষ প্ৰদীপ জ্বলিয়া থাকে। সে সময়ে পুষ্করিণীর নিৰ্ম্মল সলিল মধ্যে দীপরাজির উজ্জ্বলালোক প্ৰতিফলিত হইয়া অপূর্ব সৌন্দৰ্য্যের সৃষ্টি হয়। সে দিন প্ৰদোষ সময়ে সুন্দরলিঙ্গ দেব মীনাক্ষীদেবীর সহিত সমাগত হইয়া তরীতে আরোহণ GDR, ,