পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। চিত্র অঙ্কিত রহিয়াছে। এই কুণ্ডে স্নান করিলে সমুদয় গুরুতর পাপ বিনষ্ট হইয়া থাকে। ৯ । অগস্ত্যতীর্থ-মহাঋষি অগস্ত বিন্ধ্য পর্বতকে নিগ্ৰহান্তর এই স্থানে আগমন করিয়া এই পুণ্য তীর্থ খনন করেন। এস্থানে স্নান করিলে সর্বাভীষ্ট সিদ্ধ হইয়া থাকে । ১০। শ্ৰীরামতীর্থ—এখানে স্নান কিংবা লিঙ্গমূৰ্ত্তি দর্শন করিলে সে ব্যক্তি ভবা যন্ত্রণা হ’তে মুক্তি পাইয়া মোক্ষলাভ করে, এই সর্ব-পাপঘ্ন, সর্ববিপদ অশান্তি ও মৃত্যু বিনাশক লিঙ্গমূৰ্ত্তি শ্ৰীরামচন্দ্ৰ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । ইহার অপর নাম রাম সর বা রঘুনাথ সর। V. ১১ । শ্ৰীলক্ষণতীর্থ-—এস্থানে লক্ষণেশ্বর নামে শিবলিঙ্গ প্ৰতিষ্ঠাপিত আছেন ; স্নানান্তে এই লিঙ্গ পূজা করিতে হয়, অপুত্ৰক ব্যক্তিও স্নান করিলে পুত্ৰ লাভ করে ও ব্ৰহ্মহত্যা ইত্যাদি গুরুতর পাপানুষ্ঠান হইতে নরগণ মুক্তি পাইয়া থাকে। ১২। জটাতীর্থ-–এ তীর্থে অবগাহন করিলে চিত্তশুদ্ধি ও মুক্তিলাভ হয়। ইহার তীরে শ্ৰাদ্ধাদি সম্পাদন করিলে গায়ার শ্ৰাদ্ধাদি তুল্য ফল লাভ ঘটে । কথিত আছে যে রাবণ বধের পর শ্ৰী রামচন্দ্ৰ এই স্থানে তঁাহার জটা শোধন করিয়াছিলেন। ১৩। শ্ৰীলক্ষনীতীর্থ—এক্ষণে ইহা সমুদ্র গর্ভে নিহিত। ১৪। অগ্নিতীর্থ-শ্ৰীরামচন্দ্ৰ এস্থানে সীতাদেবীর অগ্নি পরীক্ষা করাইয়াছিলেন, ইহাও লক্ষনীতীর্থের ন্যায় সমুদ্রগর্ভে বিলীন হইয়া গিয়াছে। ১৫। শ্ৰীশিবতীর্থ- এই তীর্থ স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন, ইহাতে স্নান করিবা মাত্র ব্ৰহ্মহত্যা ইত্যাদি সমুদয় পাপ বিনষ্ট হয় । t ১৬। শঙ্খতীর্থ-ইহার নিৰ্ম্মাতা শঙ্খমুনি। এস্থানে স্নান করিলে গুরুনিন্দ পিতামাতা প্ৰভৃতির প্রতি অপমানাদিজনিত শত পাপরাশি বিনষ্ট হইয়া যায়। ] ১৭। যমুনাতীৰ্থ-পুরাকালে রোক্কা নামক এক মুনি গন্ধমাদন পর্বতে বাস করিয়া তপস্যা করিতেন, কালক্রমে তিনি বাৰ্দ্ধক্য দশায় উপনীত হইয়া ૭૦8