পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামেশ্বরম। আমরা স্রোতবেগে এবং অনুকুল পবন ভরে ধনুষ্কোটি তীর্থ দৰ্শন করিয়া সে দিবসই সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে প্রত্যাগমন করিতে সমর্থ হইয়াছিলাম। তৎপর দিবস অপরাহ্নে রামেশ্বরম হইতে রওয়ানা হইয়া পাম্বাম পহুছিলাম, তথা হইতে পরদিন প্ৰত্যুষে রামনাদ হইয়া পুনরায় মাদুরায় প্ৰত্যাবৃত্ত হইলাম। এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক যে আমরা এ স্থানে शनिवांद्र নিবাসী রামেশ্বরের জনৈক পাণ্ড কর্তৃক প্ৰতারিত হইয়াছিলাম। এ ব্যক্তি হরিদ্বার হইতে রামেশ্বর দেবের জন্য গঙ্গাজল লইয়া আসিয়াছিল। আমাদের গঙ্গোত্রী যাইবার ইচ্ছা ছিল, কাজেই এখন সেখানে যাওয়া সুবিধা হইবে কি না জিজ্ঞাসা করায় সে ব্যক্তি বলিল যে ‘বাবু তাড়াতাড়ি চলে যা’ন, এ সময়ে সেখানে যেতে পারবেন, বহু যাত্রীক সেখানে যাচ্ছে। আমরাও এই লুব্ধ আশায় প্ৰতারিত হইয়া তাড়াতাড়ি দাক্ষিণাত্য ভ্ৰমণ শেষ করিতে বাধ্য হইয়াছিলাম, এজন্যই ত্ৰিবান্ধুর যাওয়া আমাদের ভাগ্যে ঘটিয়া ওঠে নাই। রামেশ্বরম এবং পাম্বমের মহিমোজ্জ্বল স্মৃতি চির জীবনের জন্য হৃদয়ে অঙ্কিত হইয়া রহিয়াছে, তাহা আর কখনও মুছিবে না। \d 3