পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিনেৰে বন্ধনী । ਫ਼ਸਰ নগরে উপনীত হইয়া বিশ্রামান্তে নগর পর্য্যটনে বাহির হইলাম। ত্রিনোবেল্লী জেলার ইহাই প্রধান নগর। লোকসংখ্যা (৪০,৪৬৯)। মান্দ্ৰাজ নগরী হইতে ৪৪৩ মাইল দূরে এই সহর অবস্থিত। তাম্রপানি বা তান্তী নদী ইহার তটদেশ ধৌত করিয়া প্রবাহিতা। এ স্থানের রেলওয়ে পুলটি উল্লেখযোগ্য, উহা দৈর্ঘ্যে দুই মাইল। পালামকোটা এবং ত্রিনোবেল্লী নদীর উভয় তটস্থ দুই নগর এই পুলটি দ্বারা সংযোজিত। দক্ষিণপথ রেলওয়ের ইহাই শেষ সীমা। এ স্থানে বহু বলদ শকটের (Travancore Bullock Train Company) attfri আছে। ত্ৰিবন্ধুরের মহারাজার রাজত্বের অন্তঃৰ্গত কুমারিক অন্তরীপে যাত্ৰিগণ এ সমুদয় বলদ শকটারোহণে গমনাগমন করিয়া থাকেন। ষ্টেসন হইতে প্ৰায় দুই মাইল দূরে একটী ডাকবাংলা আছে, সেখানে একত্র তিনজন লোক থাকিতে পারা যায়। এ স্থানে ছত্রম এবং হোটেল ইত্যাদি থাকায়, আহারাদি সম্পর্কে যাত্ৰিগণের কোনওরূপ অসুবিধা হয় না। হোটেলের আহারাদির ব্যয় প্ৰতি বেলা ০/৫—৩/০ আনা হিসাবে পড়ে। যাত্ৰিগণের গমনাগমনের জন্য গরুর গাড়ী এবং ঝাঁটুকা পাওয়া যায়; ভাড়া মাইল প্ৰতি যথাক্রমে তিন আনা ও দুই আনা। প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে একটা হাট বসে। আষাঢ় মাসে রথযাত্রার সময়ে এ স্থানে বহু ব্যবসায়ী এবং তীর্থ যাত্রী সমবেত হয় । ত্রিনোবেল্লীর দেব-মন্দিরে শিব এবং পাৰ্বতী উভয়ের মূৰ্ত্তিই প্রতিষ্ঠিত আছে। এখানে শিবের নাম নেলিপ্লান এবং পাৰ্বতীর নাম কান্তিমতী। এই দেব-মন্দির গাত্রে বহু খোদিত লিপি দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দিরের গঠন প্ৰণালী অনেকটা মাদুরার মন্দিরের মত। গপুরাম পার হইয়া মন্দিরের সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিলেই একটী তিল্পাকুলাম ( পুষ্করিণী ) দর্শকের দৃষ্টিপথে পতিত হয়। তিপ্পিাকুলামের বাম পার্শ্বে একটী মণ্টপাম, সেই মণ্টপমে বহু খোদিত भूझऊ । মণ্টপমে একশতটা স্তম্ভ আছে। মণ্টপমটী দেখিতে অত্যন্ত 관한 1 ولان |