পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 | | ভাৰ্ণাকোলাম, কেনানুর কোচীন ইত্যাদি নগরী কেরলের অন্তৰ্গত ইহা অত্যন্ত প্ৰাচীন জনপদ। রামায়ণ, মহাভারত, ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ ইত্যাদি বহু প্ৰাচীন গ্রন্থে ইহার উল্লেখ আছে। শক্তি সঙ্গম তন্ত্রের মতে ঃ “সুব্রহ্মণ্যং সমারভ্য যাবদেবো জনাৰ্দনঃ। তাবৎ কেরল দেশঃ স্ত্যাৎ তন্মধ্যে সিদ্ধকেরলঃ ॥ রামেশ্বরাৎ ব্যঙ্কটেশাৎ হংসকেরল নামকঃ । অনন্তশৈলমারভ্য যাবৎ স্যাদব্যয়ং পরে ৷ তাবৎ সৰ্বেশনা মাতু কেবলঃ পরিকীৰ্ত্তিতঃ।” আধুনিক গোকৰ্ণ হইতে কুমারিকা অন্তরীপ পৰ্য্যন্ত সাগরতীরবর্তী সুবিস্তীর্ণ জনপদ পূর্দে কেরল নামে অভিহিত ছিল। বৰ্ত্তমান সময়ে কেরল বলিতে সমুদ্রতীরবর্তী কেবল মালাবার উপকূল বুঝায়। ইহা কবিগণের চির প্ৰিয়, মালয়ের দেশ। এখানে আমাদের হৃদয়েও যে কবিত্বের কুসুমপেলাব সুষমা জাগিয়া ওঠে নাই একথা বলিতে পারি না ; নয়ন সমক্ষে মলয় পৰ্বতের শ্যামল সুষম সত্য সত্যই হৃদয়ের প্রীতি বৰ্দ্ধক। এস্থানের নৈসৰ্গিক সৌন্দৰ্য্য আমাদের বাঙ্গালা দেশের মত। যে দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবে সেই দিকেই নারিকেল উদ্যানের শোভা । ছোট ছোট নদী বা খালের উভয় পাশ্বে ঘনবিন্যস্ত নারিকেল তরুরাজি ফলগুচ্ছ ধারণা করিয়া দাড়াইয়া রহিয়াছে, নারিকেলের পার্শ্বে বা অভ্যন্তরে গুবাকও আপনার মাথা তুলিতে সন্ধুচিত হয় নাই। শস্য শ্যামলাং মাতরমের’ পূর্ণ অভিব্যক্তি এ দেশে দেদীপ্যমান। আমার বিশ্বাস বঙ্গদেশের শ্যামল রংয়ের চেয়েও এখানকার শ্যামলতা অধিক সুন্দর। কেরল বা মালাবারের তৃপ্তিদায়িনী শোভার বর্ণনা করিয়া একটা স্বাভাবিক চিত্র পাঠক পাঠিকার সম্মুখে দাড় করান লেখনীর পক্ষে অসম্ভব। কদলী বৃক্ষও এস্থানে বহুল পরিমাণে দুষ্ট হইল। এ অঞ্চলের গৃহস্থের কুটীরগুলি প্রায়ই নারিকেল কুঞ্জের মধ্যে স্থাপিত ! দূর হইতে তরু ছায়ার আড়ালের এই গৃহগুলি পথিকের দৃষ্টি ᏄᎨ VYR.,