পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর। যুসুফ বিজয়পুরে গমন করিলেন এবং জনসাধারণের অভিপ্ৰায়ানুযায়ী আপনাকে রাজা বলিয়া ঘোষণা করিয়া সিংহাসনারোহণ করেন। যুসুফ আতিশয় বীর পুরুষ এবং কৰ্ম্মদক্ষ নরপতি ছিলেন। তিনি স্বকীয় বীরত্ব প্রভাবে বহু রাজ্য জয় করেন, এমন কি নিজ বাহুবল প্রভাবে সুদূর সমুদ্রতীর পর্য্যন্ত স্বকীয় রাজ্যসীমা বৃদ্ধি করিয়া যশস্বী হইয়াছিলেন। ইনি পার্ট গীজদিগের নিকট হইতে গোয়া নগর দখল করিয়া লন। ইহারই যত্নে এবং অর্থব্যয়ে বিজাপুরের সুবৃহৎ দুৰ্গ-বাটিকা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। যুসুফ ১৫১০ খ্ৰীষ্টাব্দে মৃত্যুমুখে পতিত হন। তঁহার মৃত্যুর পরে তৎপুত্ৰ ইসমাইল খাঁ অমিততেজে ১৫৩৪ খ্ৰীষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন। অতঃপর মুলু আদিল সাহি ছয় মাস রাজত্বের পরেই রাজ্যচ্যুত হন এবং র্তাহার ভ্রাতা ইব্রাহিম রাজাসনে আসীন হইয়া ১৫৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত নির্বিবাদে রাজত্ব করেন। তঁহার মৃত্যুর পরে তৎপুত্ৰ আলি আদিল সাহ রাজ্যভার গ্ৰহণ করেন, এই মহাত্মা অতিশয় কাৰ্য্যকুশল নৃপতি ছিলেন, ইনি বিজাপুর নগরের চতুর্দিকে প্রাচীর, জুমা মসজিদ এবং জল-প্ৰণালী সমূহ নিৰ্ম্মাণ করেন। নগরের সৌষ্ঠব বৃদ্ধি করিবার জন্য ইহার সবিশেষ মনোযোগ ছিল। সে সময়ে দিল্লীর মোগল সম্রাট ব্যতীত ইহার্যায় প্ৰবল প্ৰতাপান্বিত নরপতি ভারতবর্ষে আর কেহই ছিলেন না। ইনি বিন্দর, আহ্মদনগর ও গোলকুণ্ডার রাজার সহিত মিলিত হইয়া সুপ্ৰসিদ্ধ বিজয় নগরাধিপতি রাম রাজার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেন, উক্ত নরপতি ১৫৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে কালিকটের যুদ্ধে এই ত্ৰি-মুসলমান শক্তির নিকট পরাস্ত ও মুসলমান সৈন্যগণের বিজয়নগর লুণ্ঠনের পরে রামরাজা নিষ্ঠর মাসলেম নৃপতির আদেশে নিৰ্দয় ভাবে নিহত হন। ১৫৭৯ খ্ৰীষ্টাব্দে আলি আদিল সাহার মৃত্যু হয়। আলি আদিলোঁর মৃত্যুর পরে তদীয় ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ দ্বিতীয় ইব্রাহিম আদিল অতি অল্প বয়সে রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন। এই সময়ে মৃত আলি আদিলের পত্নী বিখ্যাত চান্দবিবিই প্রকৃতপক্ষে রাজকাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিতেন। এই রমণীর বিচক্ষণতা ইতিহাস প্ৰসিদ্ধ। ALASESLMLALES EES ASkL LL MSLLSkiuELTTLLLlHELSSSTTTuTieiMkS tSS ইব্রাহিমও রাজ্যভার স্বীয় হস্তে গ্ৰহণ করিয়া মৃত্যু পৰ্য্যন্ত বিশেষ দুজন । Ve )