পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्ान्नङ-थर्भ० । একবার আপনাকে অতীতের যুবরাজ মুরাদের সৈন্যাক্রান্ত নগর দুর্গ বেষ্টিত আহমদনগরের মধ্যে স্থাপন কর। চারিদিকে রণ-কোলাহল জাগিয়া উঠিয়াছে, দুর্গের চারিদিকে মুরাদের সৈন্যগণ সুড়ঙ্গ প্ৰস্তুত করিয়া বারুদের সাহায্যে দুর্গ ও দুৰ্গবাসী দিগকে উড়াইয়া দিবার জন্য প্ৰস্তুত । কানন রননি। করিয়া অসির ঝন ঝনায় চারিদিক উদ্বেলিত, মোগল সৈন্যের অপূর্ব উল্লাস! কিন্তু এ দিকে ও কি ? কে ঐ * রমণী বীরাঙ্গনা বেশে কবচে দেহ আবৃত করিয়া, একটা সূক্ষ্য গুণ্ঠনে বদন ঢাকিয়া উলঙ্গকরবাল হস্তে সৈন্যগণকে উৎসাহ দিতেছে ? ? কাহার উৎসাহ ধ্বনিতে, আহবান বাণীতে পুনরায় পলায়নোস্থ্যত সৈন্যগণ ভীরুতা ভুলিয়া দেশের স্বাধীনতার জন্য যাহা কিছু গোলাগুলি ছিল বর্ষণ করিতে লাগিল। আই দেখা মোগল সৈন্য পিছু হটিতেছে, আবার দৃষ্টিপাতকর প্রাচীরের ছিদ্ৰ বুজিয়া গিয়াছে। চাদবিবির বীরত্বে অবশেষে সেবার মুরাদকে সন্ধির প্রস্তাব করিয়া ফিরিতে হইল । কিন্তু ইহার দুই বৎসর পরে মোগলের আবার আক্ৰমণ করিল, এবং নানা প্ৰকার ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়িয়া সৈন্যদলের বিপ্লবে তিনি প্ৰাণ হারাইলেন। পাপের বীজ রোপিত হইলে তাহার ফল না ফলিয়া যায় না, এই পাপের ও ফল ফলিতে বিলম্ব হইল না, অল্প সময় মধ্যেই নগর অধিকৃত ও নাবালক মহারাজা বন্দী হইলেন। বীরাঙ্গনাকে অন্যােয়রূপে নিহত করার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হইল। ভারতবর্ষের ইতিহাসে স্বর্ণীক্ষরে চাদবিবির যে বীরত্ব গাথা গ্রথিত হইয়া রহিয়াছে তাহা বিশ্ব বিজয়ী কাল ও মুছিয়া ফেলিতে সক্ষম হইবে না। তদীয় ভ্রাতুষ্পপুত্র বিজাপুরের সুলতান ইব্রাহিম চাদবিবির সম্বন্ধে শ্লোক রচনা করিয়াছিলেন আমরা এ স্থানে তাহার অনুবাদ প্ৰকাশ করিলাম। তিনি চাদবিবির শোচনীয় মৃত্যুতে অত্যন্ত শোক-সন্তাপ্ত হইয়াছিলেন। ইব্রাহিমের রচিত শ্লোক কয়টি ব্ৰজ-মারাঠী মিশ্রিত রূপে-গুণে অতুলনা , । সুরবালা আছে নান নন্দন-কানন আহা ! যাহাদের বাস, ধরাধামে রূপবতী আছে শত গুণবতী । সৌন্দৰ্য্যে জ্যোছনা খেলে মধুমাখা ভাষ,

  • · Y.

اته