পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর叶穹南 কাহারও প্রবেশ করিবার নিয়ম নাই । , একটী কঁচের . নলের মধ্যে ঐ কেশ । দুইটী রক্ষিত হইয়া অপর একটী স্বর্ণের কারুকাৰ্য্য খচিত আবুলুস কাষ্ঠের ক্ষুদ্র বাক্সে ঐ নলটি আবদ্ধ আছে, এই ক্ষুদ্র বাক্সটী আবার একটী বড় বাক্সে আবদ্ধ। “আসার মহল” চতুষ্কোণাকৃতি। এই অট্টালিকাটা একটু নূতন ধরণের, ইহার সুচিত্রিত প্রস্তর ছাদ ৩৫ পয়ত্ৰিশ ফুট উচ্চ চারিটি সুদৃঢ় কাষ্ঠের স্তম্ভের উপরে সংস্থাপিত। প্রাসাদের দৈর্ঘ্য ১৩৫ ফুট ও প্ৰস্থ ১০০ একশত ফুট। প্রাসাদটী দ্বিতল। সম্মুখে বারান্দা। প্ৰধান প্ৰধান কক্ষগুলি সমুদয়ই দ্বিতলের উপর। প্রকোষ্ঠস্থিত দেওয়ালগুলি Fresco) (ফ্রেস্কো, চিত্রদ্বারা সুরঞ্জিত। আমাদের পূর্ব বর্ণিত মহম্মদের শাশ্রীর ঘরও দ্বিতলের উপর, এঘর বার মাসই প্ৰায় বন্ধ থাকে কেবল বাৰ্ষিক উৎসবে ভক্তদের দর্শন জন্য এক দিবস খোলা হয়। একটা প্ৰকোষ্ঠ মধ্যে রাজকীয় দরবারাদি বিশেষ উপলক্ষ সময়ের ব্যবহাৰ্য্য কাপোট, মকমলের চাদর, বিছানা, পুরাণ চীনের বাসন ইত্যাদি দেখিলাম। দ্বিতলাস্থিত প্ৰত্যেকটী প্ৰকোষ্ঠের প্রাচীর ও ছাদ নানাপ্রকারের লতা পাতা ও মনুষ্যের ছবি ইত্যাদি দ্বারা পরিশোভিত। এই সৌধের একাংশেই রাজকীয় পুস্তকালয় ছিল, কিন্তু লুণ্ঠন ও উইপোকার কৃপায় তাহার অধিকাংশই বিনষ্ট হইয়াছিল, অবশিষ্ট পুস্তকাবলী ১৮৪৪ খ্ৰীষ্টাব্দে সারা রবার্ট বাটল কর্তৃক ইণ্ডিয়া আফিসে স্থানান্তরিত হইয়াছে। দ্বিতলের শেষ প্রকোষ্ঠ মধ্যে মাহমুদ বাদসাহের ছবি ছিল, কিন্তু নিষ্ঠর প্রকৃতি মােগল সম্রাটে হস্তে পড়িয়া তাহা বিনষ্ট হইয়াছে। . ৩। মাহমুদের সমাধি—ইহা “বোল” অথবা “গোল” গুম্বজ নামেই সর্বসাধারণ্যে সুপরিচিত। বিজাপুরে যে সমুদয় প্রাচীন প্রাসাদদি বিদ্যমান আছে তন্মধ্যে ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ । ইহার জন্যই বিজাপুর সভ্য জগতে বিশেষ বিখ্যাত। মাহমুদ আদিল সাহ ১৬২৬ খ্ৰীষ্টােব্দ হইতে ১৬৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি স্বয়ংই এই সমাধি-মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করেন। ভারতবর্ষের প্রসিদ্ধ সমাধি মন্দিরগুলির মধ্যে এই সমাধি মন্দিরও অন্যতম। এই অট্টালিকাটী অসম্পূর্ণ দেহে বিরাজমান, কারণ ইহার নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য শেষ হয় নাই। ইহার গুম্বজ পৃথিবীর অন্যান্য by VD ©Q ዓ