পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । প্রকার পণ্যদ্রব্যাদিতে পরিপূর্ণ থাকিয়া নগরের শান্তি সুখ ও ধনৈশ্বৰ্য্যের গৌরব মহিমা প্ৰকাশ করিত। আসাদ বেগের বিজাপুর বর্ণনা পাঠ করিলে মনে হয় যেন সে সময়ে ইহা অমরপুরী ছিল। একদিকে যেমন আন্তর, গোলাব, অলঙ্কার, সুরা, নৰ্ত্তকী ইত্যাদি বিলাসোপকরণের প্রাচুৰ্য্য ছিল, অন্যদিকে আবার তদ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র, রুটি, মৎস্য, মাংস, খড়গ, ছুরি ইত্যাদি সৰ্ব্ব প্রকার আবশ্যকীয় দ্রব্যাদিও প্রচুর পরিমাণে মিলিত । বৰ্ত্তমান সময়ে বিজাপুর সহর যতটুকু, তখন ইহা অপেক্ষা অনেক বড় ছিল। সে সময়ে এই নগর সহর ও সহরতলি সহ বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, বহু লক্ষ্য লোক এস্থানে বাস করিত । কেহ কেহ বলেন যে তৎকালীন আয়নাপুর, নৌরসপুর, আল্লাপুর, সাহাপুর, জোরাপুর, ইব্রাহিমপুর প্রভৃতি |- r » wow!**w --- ாடி - একটী প্ৰাচীন খিলানের দৃশ্য। . সহরতলি লইয়া এই নগরে দশলক্ষ লোকের বসতি ছিল। বিজাপুরের বৰ্ত্তমান ধ্বংসাবশেষের অবস্থা এবং চতুদিকস্থ আধুনিক পরিত্যক্ত গ্রাম ইত্যাদি দর্শন করিলে তাঁহাই প্ৰতীয়মান হয়। বৰ্ত্তমান বিজাপুর দর্শন করিয়া অতীতের ধনৈশ্বৰ্য্য পরিপূর্ণ মহত্ত্ব অনুভব করা সহজ নহে। . বর্তমান নগরী অতীতের কঙ্কাল মাত্র। ফেরিস্তা। ১৫৮৯ খ্ৰীষ্টাব্দে বিজাপুর যেরূপ জন-কোলাহল মুখরিত ও সুরম্য প্রাসাদ বেষ্টিত আমোদ পূর্ণ দর্শন করিয়াছিলেন আমরা তাহা কিরূপে কল্পনা করিতে পারি ? এস্থানে জেমস , , ; , , ' =.