পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांब्रड-खभo । খোরাসানী বণিক দিল্লী-দরবারে উপস্থিত হয় এবং অল্পকাল মধ্যেই স্বীয় দক্ষতাগুণে প্রতিষ্ঠালাভ করতঃ সম্রাটের প্রিয়পাত্ৰ হইয়া অযোধ্যার শাসনকৰ্ত্তার পদে নিযুক্ত হ’ন, সদৎখাঁ কর্তৃকই লক্ষ্মেী অযোধ্যার রাজধানীরূপে পরিগণিত হয়। এই সদৎখাই নরপিশাচ নাদির সাহকে ভারতে নিমন্ত্রিত করিয়া লুণ্ঠনের দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দেন, কিন্তু বিধাতার আশ্চৰ্য্য বিধানে পুনরায় নাদির কর্তৃক ভীষণরূপে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হইয়া বিষপানে আত্মহত্যা করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। সদৎখাই অযোধ্যার নবাববংশের পূর্ব পুরুষ। ইহার মৃত্যুর পরে সাদতের ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ এবং জামাতা সফদর জাঙ্গ সদ্যুৎ প্রতিষ্ঠিত সিংহাসনকে দৃঢ়তর করিয়া রাজ্যশাসন করিয়াছিলেন। ইহার মৃত্যুর পরে সুজাউদ্দৌলা নবাব হ’ন, "--এই সুজাউদ্দৌলার সময়েই ১৭৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধে উত্তর পশ্চিম প্রদেশে ইংরাজাধিপত্য বিস্তৃত হইতে আরম্ভ করে। সুজার পরে তৎপুত্র আসফ নবাব হইলেন, লক্ষেীর অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য ইমামবাড়ী এই আসফদ্দৌলাই নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। আসফের পর মিজ্জা আলী, তৎপরে সদৎআলী প্ৰভৃতি অনেকেই রাজত্ব করেন ; তৎপরে ১৮৪৭খৃঃ অব্দে ওয়াজিদ আলী অযোধ্যার নবাব হন । ইনি অযোধ্যার শেষ নবাব । ১৮৫৬ খৃঃ অব্দে ডালহৌসি ওয়াজিদ আলীসাহিকে কু-শাসন অপরাধে সিংহাসনচ্যুত করিয়া কলিকাতার মেটিয়াবুরুজে আবদ্ধ করিয়া রাখেন। ওয়াজিদ আলী সাহা অত্যন্ত বিলাসী ছিলেন--সুবিখ্যাত লক্ষ্মেীঠংরি ইহারই রচিত। বন্দী ওয়া জাদ আলীর শোক-সঙ্গীতে একদিন ভারত কঁাদিয়াছিলর্তাহার বড় সাধের ছত্ৰমঞ্জিলে শোকের ঝড় বহিয়াছিল ;--চির সুখাভ্যস্ত-- চিরবিলাসী--ওয়াজাদ ইংরেজের বন্দীবেশে তঁহার প্ৰিয়তম লক্ষ্মেী নগরীর নিকট হইতে বিদায় লইবার সময় হৃদয়ের সুতীব্র যাতনা নিঃসৃত শোকা শ্রীর সহিত কাতরকম্পিত্যকণ্ঠে লক্ষ্মেীঠংরিতে গাহিয়াছিলেন— “যবে ছোড় চলি লক্ষ্মেী নগরী * তেরা হলে আদম প্যারা ক্যাগুজারি। আদামা গুজারি, সাদমা গুজারি, যব হাম গুজারি, দুনিয়া গুজরি।” ।