পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ শোক-সঙ্গীতে পাষাণও দ্রবীভূত হইয়াছিল, আজ এই দীপ্ত সূৰ্য্যালোকে অদূৱস্থিত ছত্ৰ-মঞ্জিলের কনক সৌন্দৰ্য্য দেখিতে দেখিতে হতভাগ্য । নবাবের শোক-সঙ্গীত হৃদয়ে বড় করুণ-তান তুলিয়া দিয়াছিল। এইরূপে । মনের দুঃখে কঁদিতে কঁাদিতে ১৮৮৭ খৃঃ অব্দে তাহার জীবন-লীলা সাঙ্গ হইল। ওয়াজিদের মৃত্যুর পর হইতে র্তাহার একমাত্র কন্যা ও তঁাহার জামাতা জাহান কাদির মীর্জা, গবৰ্ণমেণ্টের বৃত্তিভোগী হইয়া মেটিয়াবুরুজেই বাস করিতেছেন। সিপাহীবিদ্রোহের সময় লক্ষ্মেী বিদ্রোহী সিপাহীবগের। সিপাহীবিদ্রোহে একটা প্ৰসিদ্ধ কেন্দ্ৰস্থল ছিল। নানাস্থান হইতে আগত লঙ্গেী। বিদ্রোহী সিপাহীবর্গ সমবেত হইয়া এখানকার রেসিডেন্সি আক্রমণ করিয়াছিল, সে সময়ে সুবিখ্যাত হেনরি লরেন্স লক্ষ্মৌর রেসিডেন্ট ছিলেন, সেকালে ইহার ন্যায় কৰ্ত্তব্যপরায়ণ ও ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি ইংরেজদের মধ্যে কেহ ছিল না বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ইনি এ অঞ্চলের সমুদয় ইংরেজ নরনারীগণকে প্ৰায় ছয়মাস কাল পৰ্য্যন্ত পিশাচ প্ৰকৃতি বিদ্রোহী সৈনিকবৃন্দের হস্ত হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন। তঁহার বাসভবন অস্থাপি গোলাগুলির চিহ্ন বক্ষে করিয়া তদীয় বীরত্বের ও মহত্ত্বের পরিচয় দিতেছে, সে গৃহের ছাদ ধসিয়া গিয়াছে, কিন্তু প্রাচীর এখনও গোলাগুলির শত ছিদ্র লইয়া দাড়াইয়া আছে। স্ত্রীলোকগণকে তোষাখানাতে রাখা হইয়াছিল, । কিন্তু দৈবের অদ্ভুত-চক্রের অদ্ভুত গতি কে রোধ করিতে পারে ? তোষাখানার ভিতরেও কোনওরূপে একটী গোলা প্ৰবেশ করিয়া জনৈকা রমণীর মস্তক উড়াইয়া দিয়াছিল। সেই হতভাগিনী রমণীর শোণিত-চিহ্ন, গােলার ভীষণ । দাগ, এখনও দেওয়ালের গায়ে রহিয়াছে। হেনরি লরেন্স যে স্থানে আহত হ’ন এবং যে স্থানে মৃত্যু আসিয়া এই মহিমামণ্ডিত পুরুষকে ক্ৰোড়ে টানিয়া । লয়—সে স্থান দুইটী এখনও চিহ্নিত রহিয়াছে। আমরা এই কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ মহাপুরুষের অপূর্ব কৰ্ত্তব্যজ্ঞানের বিষয় চিন্তা করিয়া হৃদয়ে অপূর্ব তৃপ্তি ও আনন্দানুভব করিয়াছিলাম। র্তাহার সমাধির উপর লিখিত আছে।--Here lies Henry Lawrence who tried to do his duty"-" s য়ক ہے۔ '- সাধনপ্রয়াসী সার হেনরি লরেন্স এই স্থানে চিরনিদ্ৰিত আা ছন” । এখানে