পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। মণি প্রকারীঃ সরসঞ্চ চন্দনং শুচে প্রিয়ে যান্তি জনস্য সেব্যতাম।” (ঋতুসংহারকাব্যম) বৰ্ত্তমান সময়ে যদিও এই প্রাসাদের চতুদিকে কোনও ফোয়ারা নাই, কিন্তু পূর্বে যে অনেকগুলি ফোয়ারা ছিল, তাহার বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। এই প্রাসাদের নিৰ্ম্মাণ প্ৰণালী অতীব চমৎকার। যেরূপ উৎকৃষ্ট এবং স্থায়ী উপাদানে ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে তাহাতে দুই চারি সহস্র বর্ষে ইহা ধ্বংস হইবেন, কারণ নিয়ত জলস্রোতে এতদিনেও ইহার কিছুমাত্র বিকৃতি সাধিত হয় নাই। প্রাসাদ-প্রাচীর গাত্রে সৰ্পোপরি শ্ৰীকৃষ্ণ মূৰ্ত্তি খােদিত রহিয়াছে। নটাবর বংশীধারীর চতুর্দিকে গোপীগণ জোর হস্তে দণ্ডায়মান হইয়া পরিধেয় বস্ত্ৰ প্ৰাৰ্থনা করিতেছে। কাহারও কাহার ও মতে এই স্থানেই অবন্তীখণ্ডোক্ত ব্ৰহ্মকুণ্ড ছিল, কাল ক্ৰমে সেই ব্ৰহ্মকুণ্ডই কালীয়দী নামে পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে। আবুল ফজল প্রভৃতি প্ৰাচীন ঐতিহাসিকগণ কিন্তু ব্ৰহ্মকুণ্ডের কোনও কথা উল্লেখ করেন নাই ; তাহাদের পুস্তকে কেবল কালীয় দীর্ঘীর নামই দৃষ্ট হয়। উজ্জয়িনীর দশাশ্বমেধের নিকটে একটা তীৰ্থ আছে তাহার নাম “অঙ্কপাত”। এই স্থানটী বৈষ্ণবগণের বিশেষ প্রিয়। কথিত আছে যে কৃষ্ণ বলরাম সান্দীপণী মুনির নিকট অধ্যয়ন করিতে আসিয়া সর্বপ্রথমে অঙ্কপাতে লিখিতে আরম্ভ করেন, সেজন্য ইহার নাম অঙ্কপাত হইয়াছে। এস্থানে বিষ্ণুর বিশ্বরূপ মূৰ্ত্তি আছে। কেহ কেহ বলেন মলহর রাও, আবার কেহ কেহ বলেন রঙ্গরাও আপ্লা এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছেন। রাজ্ঞী অহল্যাবাইর নিৰ্দ্ধিারিত বৃত্তি অনুসারে প্রত্যহ এখানে দশজন ব্ৰাহ্মণ ভোজন হইয়া থাকে। এই তীর্থের কিয়দূরে দামােদর, গোমতী, বিষ্ণুসাগর প্রভৃতি কয়েকটা প্রাচীন কুণ্ডের খাত দৃষ্ট হয়। আমরা এ সমুদয় তীর্থাদি দর্শন করিয়া হৰ্ষদ্বীপস্থিত কালিকামূৰ্ত্তি দর্শন করিবার জন্য গমন করিলাম। এই স্থানটি কালীয়দীখী হইতে প্রায় অৰ্দ্ধক্রোশ দূরে অবস্থিত। স্থানটী অতিশয় নিৰ্জন, মন্দির সমীপে - সুবিস্তৃত মাঠ, লোকালয়ের কোন চিহ্নই দৃষ্ট হয় না। পূর্বে এই দ্বীপের ,', .

  • * Yala . . . .

பு: ·ද්, .۴ t : ༥ . . . . . ' ... . , , 'י"ז, י