পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰম에 1 রাত্ৰিতে অনিদ্রাবশতঃ শরীর বিশেষ ক্লান্ত হইয়াছিল, কাজেই মধ্যাহ্নে আহারাদির পর নিদ্রাদেবীর সুকোমল ক্ৰোড়ে আশ্ৰয়গ্ৰহণ করিলাম, -এ স্থানে খাদ্য দ্রব্যাদি বিশেষ সুলভ। নিদ্রান্তে অপরাহুে নগর দেখিতে বাহির হওয়া গেল,—সুন্দর নগরী-দুই পার্শ্বে দ্বিতল ত্রিতল আটালিকা,-দেখিতে বেশ। রাজপথে অনেক বাঙ্গালী দেখিলাম -এ নগরে অনেক বাঙ্গালী বাস করিয়া থাকেন। প্ৰথমেই কৈসরবাগ দর্শন করিতে গমন করিলাম। রেসিডেন্সির পাশ্বেই ইহা অবস্থিত । কাইসার, কৈসর একটী প্ৰকাণ্ড প্রাঙ্গণের চারিদিকে শ্রেণীবদ্ধ দ্বিতল * ****ৰাগ ‘ অট্টালিকাশ্রেণী অবস্থিত রহিয়াছে। এই সকল গৃহে নবাব ওয়াজিাদ আলীর বেগমের বাস করিত, এই প্ৰাঙ্গণের মধ্যে একটা প্ৰস্তর গঠিত সুবৃহৎ অট্টালিকা, ইহার নাম “বারদ্বারী’ বা বারদুয়ারী। বারদ্বারীর ছাদ বিস্তৃত খিলানের উপর স্থাপিত ও চিত্ৰলিখিত, দেখিতে বড়ই লোচনানন্দদায়ক। প্ৰাঙ্গণে প্ৰবেশ করিবার জন্য চারিদিকেই বড় বড় দরোজা আছে। এই সুন্দর রাজভবন নবাব ওয়াজিদ আলী সাহা স্বকীয় বিলাসোপকরণ স্বরূপ আশী লক্ষ মুদ্রা ব্যয়ে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । বারদ্বারীর চতুর্দিকে নানাবিধ পুষ্পের উদ্যান। ওয়াজিদ আলি সাহ “বারদ্বারী’ ভবনকে প্ৰমোদভবন রূপে ব্যবহার করিতেন, এখন সেখানে জনসাধারণের সভা সমিতি হইয়া থাকে। প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিবার পূর্বদিকের দ্বারকে “লাখীদারওয়াজা” কহে । এই দ্বারা নিৰ্ম্মাণ করিতে এক লক্ষ মুদ্রা ব্যয়িত হইয়াছিল। ইহার কবাট-গাত্রে মৎস্যাঙ্গনাযুগল রাজকীয় চিহ্নস্বরূপ অঙ্কিত রহিয়াছে। এখানকার চতুর্দিকস্থ অট্টালিকার প্রকোষ্ঠ সমূহে নানা দেশীয় অতুলনীয় রূপসীবৃন্দ নবাবের পত্নীরূপে বাস করিতেন । খোজা ও স্ত্রীলোক ব্যতীত এখানে অন্য কাহারো প্ৰবেশাধিকার ছিল না । ইন্দ্ৰিয়পরায়ণ নবাব ওয়াজিদ আলী তাহার প্রায় তিন শত পত্নীসহ সর্বদা নানারূপ প্ৰমোদ বিলাসে দিনাতিপাত করিতেন—ৰ্তাহাদিগকে লইয়া রাস, দোল প্ৰভৃতি সৌখীন ক্রীড়ায় মগ্ন থাকিতেন। হায়রে বিলাসিত । আমরা কল্পনায়ও এরূপ অপূর্ব বিলাসিতার কথা অনুভব করিতে পারি না। যিনি সর্বদা এতদূর বিলাস-ব্যাসনে দিনাতিবাহিত করিতেন, তাহার রাজ্যনাশ 8b”