পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহমদনগর । সাজাহান আহ্মদনগর একেবারে রাজা শূন্য করেন। ১৭৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহা পেশোবাদের অধিকারভুক্ত হয়, ১৭৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে মহারাষ্ট্র নেতা দৌলতরায় সিন্ধিয়ার হাতে আইসে এবং ১৮১৭ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে ইহা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত হয়। প্রাচীন ইতিহাস শেষ হইল, আমরা এখন পাঠকবর্গের নিকট এস্থানে যে সকল দর্শনীয় স্থান রহিয়াছে একে একে তাহদের বিবরণ প্ৰদান করিব। সর্ব প্ৰথমে আমরা অহমদনগরের দুর্গ দেখিতে গমন করিলাম। এই দুর্গটি হুসেন নিজাম সাহি তদীয় রাজত্ব সময়ে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন ইনি ১৫৫৩-১৫৬৫ খ্ৰীষ্টােব্দ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন, কিন্তু ইহাকে রাজত্বের অধিক সময়েই যুদ্ধে ব্যাপৃত থাকিতে হইয়াছিল। জনপ্ৰবাদ এইরূপ যে এমন সুদৃশ্য ও মজবুত দুর্গ ভারতবর্ষে কেন, এসিয়া মহাপ্রদেশের মধ্যেই বিরল। এই দুর্গের অনতিদূরেই “দামড়ি মসজিদ’ ; কথিত আছে, যে সমুদয় মজুরেরা এই দুর্গ নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্যে ব্ৰতী ছিল, তাহারা প্ৰতিদিনের মজুরি হইতে এক দামড়ি অর্থাৎ সিকি পয়সা বঁাচাইয়া এই মসজিদটি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিল, সে জন্যই ইহার নাম ‘দামড়ি মসজিদ হইয়াছে। মসজিদটি দেখিতে বেশ সুন্দর। রুমী খাঁর সমাধি-রুমী খাঁ হুসেনের একজন সেনাপতি ছিলেন, ইনি তোপ নিৰ্ম্মাণ করিতে বিশেষ দক্ষ ছিলেন । ইহঁর সমাধিটি দেখিতে বেশ সুন্দর, উপরের গুম্বজটির গঠন বেশ মনোরম। সমাধির চতুর্দিকে বাগান, ইহা এখন একটী বাংলায় পরিণত হইয়াছে। বীজাপুৱস্থিত “মালিক-ই মৈদান” নামক কামানটি রুমি খাঁ এই স্থানেই নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, অদ্যাপিও বাগানের যে স্থানে গৰ্ত্ত করিয়া এই তোপ ঢালা হয় তাহার চিহ্ন बर्दभन्म डाgछ । . সলাবৎ খাঁর সমাধি-হুসেনের মৃত্যুর পর তদীয় পুত্র মুর্তজা নিজাম শাহ ১৫৬৫-১৫৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। ইহঁর রাজত্ব সময়ে প্রধান মন্ত্রী সলাবত খাঁ ও সুপ্ৰসিদ্ধ ঐতিহাসিক ফেরিস্তার নাম উল্লেখ | যোগ্য। সলাবৎ খাঁ অতিশয় জ্ঞানবান এবং বুদ্ধিমান মন্ত্রী ছিলেন, তাহার | দক্ষতাগুণে সর্বশ্রেণীস্থ প্রজারাই বিশেষ সুখী ছিল। ইনি নিজের মৃত্যুর | পূর্বেই অহমদনগরে তঁহার সমাধি গৃহ নিৰ্ম্মাণ করেন ; এই |