পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । নিকট পহুছা যায়। উহা উৰ্ত্তীর্ণ হইলেই একটী প্ৰকাণ্ড প্ৰাঙ্গণ, প্ৰাঙ্গণের চতুর্দিকে ছোট ছোট কক্ষ বিশিষ্ট প্রাচীর ; তাহার এক পার্শ্বে একটী সুন্দর মসজিদ দিবালোকে ঝলমল করিয়া সৌন্দৰ্য্য বিকীর্ণ করিতেছিল। মসজিদ দৰ্শনান্তে আমরা প্রাঙ্গণের অপর পার্শ্বস্থিত, ইমামবাড়ার সম্মুখে আসিলাম। কি বিরাট দৃশ্য ! নবাব আসিফ উদ্দৌলা কর্তৃক এই বিরাট ভবন নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ১৭৮৪ খ্ৰীষ্টাব্দের ভীষণ দুর্ভিক্ষের সময় নবাব অন্নকষ্ট প্ৰপীড়িত নরনারীগণের সাহায্যাৰ্থ এই সুবৃহৎ অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, প্ৰজাবৰ্গ পারিশ্রমিক প্ৰাপ্ত হইয়। তদ্বিনিময়ে ইহা নিৰ্ম্মাণ করিত, কথিত আছে যে অন্নকষ্ট প্ৰপীড়িত অনেক সন্ত্রান্ত ব্যক্তিও উপযুক্ত পারিশ্রমিক গ্রহণে এই অট্টালিকার নানাবিধ কাৰ্য্যে নিয়োজিত ছিলেন, তঁাহারা রাত্রিতে আসিয়া আপনাদের পারিশ্রমিক গ্রহণ করিতেন । ইমামবাড়ার অট্টালিকা দেখিতেও যেমন সুন্দর, ইহার গঠন এবং ভিত্তিও আবার তাদৃশ দৃঢ়। ইহার প্রাচীরের বেধ প্ৰায় ১২ ফুট, একটী প্রকোষ্ঠ ১৬৭ × ৫২ ফিট, এতাদৃশ বৃহৎ প্রকোষ্ঠ জগতের আর কোথাও নাই।।*। ঐ বৃহত্তম কক্ষের দুই পার্শ্বে দুইটী অষ্টভুজ কক্ষ আছে, উহার ব্যাস প্ৰায় ৫৩ ফুট হইবে। এই তিনটী প্ৰকোষ্ঠই মূল্যবান দ্রব্য-সম্ভারে সুসজ্জিত ; কিন্তু একদিন যে সকল চারু-শিল্পকলায় গৃহ-প্রাচীর সুচিত্রিত ছিল, বৰ্ত্তমান সময়ে আমরা তাহার অতি ক্ষীণতর প্রতিবিম্ব মাত্ৰ দেখিতে পাই । কক্ষের উৰ্দ্ধভাগ লোহিত প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত বারাণ্ড দ্বারা পরিশোভিত, ঐ সকল বারাণ্ডায় বসিয়া নৰাবের বেগম সাহেবগণ কোরাণ শ্রবণ করিতেন। সমগ্ৰ দ্বিতলািট একটী গোলকধাঁধা, ইহাতে একবার প্রবেশ করিলে কোনও পথ-প্ৰদৰ্শক সঙ্গে না থাকিলে পুনরায় বাহির হইয়া আসা সম্পূর্ণ অসম্ভব বলিলেই হয়। কথিত আছে যে নবাবের সহিত তঁহার অন্তঃপুরবাসিনী মহিলাগণ এস্থানে লুকোচুরি খেলিতেন। কক্ষগুলি বহুমূল্য ঝাড়ে সুশোভিত। কোন ঝাড়ে ৬০, কোন ঝাড়ে ৮০, কোন ঝাড়ে ১২০টা বাতি আছে। স্ববৃহৎ হলটর মধ্যভাগেই DBDD BDD SDBD DB DDDBD S DBBS DBDDBS BB BBBB ঘুম আর ভাঙ্গিবেনা। আজ আসফউদ্দৌলাই বা কোথায় তাহার রাজ্য