পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இfகு-கு ed to breakfast. What can withstand them?" frts etc. যে এই দুর্গ লুট করিয়া ডিউক অৰূওয়েলিংটন এবং তঁহার অধীনস্থ সেনানায়কগণ ধনী হইয়া গিয়াছিলেন। দুর্গ অধিকৃত হইবার কিছুদিন পরে ইহা পেশবাদিগকে প্রদত্ত হইয়াছিল, কিন্তু ১৮১৭ খ্ৰীষ্টাব্দে পেশবা রাজ্যচু্যত হইলে সে অবধি ইহা ইংরেজ রাজ্যের অন্তভুক্ত হইয়াছে। মুসলমান রাজগণের হস্তে আহমদনগর সুন্দর সুন্দর সৌধমালায় এবং উদ্যান সমূহে সুসজ্জিত ও সুশোভিত ছিল। এস্থানে জলসরবরাহ করিবার জন্য নিজামসাহী রাজগণ যেরূপ অর্থব্যয় করিয়াছিলেন, এবং যেরূপ সুকৌশলে নগরবাসীদিগের জল যোগাইতেন তাহা সবিশেষ প্ৰশংসনীয় এবং তঁহাদের প্ৰজারঞ্জনের অত্যুৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। মুসলমান রাজগণকে বৈদেশিক ঐতিহাসিকবৃন্দ যে বর্ণে ই চিত্রিত করুক না কেন, তঁহাদের কঠিন হৃদয়ের অন্তস্থলে ফন্থনদীর সুনিৰ্ম্মল পবিত্ৰধারার ন্যায় যে প্ৰজাগ্ৰীতির পূত স্নেহ-স্রোত প্রবাহিত হইত তদ্বিষয়ে বিন্দু মাত্ৰও সন্দেহ নাই। তাহারা বিলাসী ছিলেন —সময়ে সময়ে নিষ্ঠার ছিলেন একথা স্বীকার করিলেও—অন্যদিকে তঁহাদের মহত্ত্বের ও ঔদার্য্যের এবং সাম্য ভাবের কথা উল্লেখ না করিলে সে সমুদয় মােশ্লেম-কুল-সস্তুত মহাত্মাগণের স্বৰ্গীয় আত্মার প্রতি অবিচার করা হয়। অহমদনগরের প্রাচীন ইতিহাস ধীরে ধীরে আমাদের হৃদয় ছাইয়া ফেলিয়াছিল। আমাদের মনে হইতেছিল যে সত্য সত্যই বুঝি আমরা নিজামীসাহী রাজগণের রাজত্ব সময়ে বিচরণ করিতেছি । বিনা বিশ্রামে এবং এত অনিদ্রা ভোগ করিয়াও ভারতের প্রাচীন কীৰ্ত্তি সমূহ যতই দর্শন করিতেছি, ততই অপূর্ণ হৃদয়ে পূর্ণতা জাগিতেছে। যখন অহমদনগর হইতে আমাদের বাস উঠাইয়া বোম্বাই গমনোদ্দেশ্যে অহমদনগর ষ্টেটসনে বাস্পপীয় শকটে আরোহণ করিলাম--তখন অদূরস্থিত মসজিদের গুম্বজ ইত্যাদি দর্শনে এক বিন্দু অশ্রুর সহিত কবির কথা মনে জাগিল। :-) “Like leaves on trees the race of man is found, Now green in youth, now shed upon the ground; So generations in their course decay, So flourish these when those have passed away.” ԳֆÑ»