ভাষা বিজ্ঞান । 3 eసి টিপ্পণী—স্ত্রীত্ব প্রত্যয়ের ঈ, “তদ বৎ ব্যবহার স্বচক “ঈ এবং সম্বন্ধ বোধক ঈ যোগে পদ প্রায়ই সমান আকৃতি হয় কিন্তু তাহদের অর্থ বিভিন্ন প্রকার । ৩৬৫ স্বত্র। বিশিষ্যের উত্তর কর্তৃবাচ্যে ইয়া, উয়া ও উড়িয়া প্রত্যয় হয়। এই তিন প্রত্যয়ে উৎপন্ন পদ বিশেষণ হয়। তাঁহাদের যোগে অস্ত্য অ, আ লোপ পায় এবং শব্দের উপান্ত ও কার স্থানে উ কার হয়। যথা—মোট+ইয়া=মুটিয়া, ভোট +श्नः। 4ङ्घे, জাল+উয়া=জানুয় কালা+উয়া=কালুয়া, হাট+উড়িয়া =হাটুড়িয়া, কাঠ+উড়িয়া=কীর্তুরিয়া, ইত্যাদি। নিপাতনে—ভাঙ্গ +উড়িয়া=ভাঙ্গড় ভাড়া+ইয়া=ভাড়াটা খ+উয়া= থাকুয়া । ই কারাদি স্বরবর্ণান্ত শব্দের উত্তর এই তিন প্রত্যয় হয় না। ( ২ ) আকারান্ত শব্দের উত্তর "তদ্ব্যবসায়ী” এই অর্থে “রী” প্রত্যয় হয়। যথা—শাখারী, কাসারী, পূজারী, খেলারী, জুয়ারী, ভিক্ষারী বা ভিখারী ইত্যাদি। ৩৭৬ স্বত্র । অকারান্ত ও হলন্ত বিশিষ্য শব্দের উত্তর কর্তৃবাচ্যে আ হয়, উপান্ত অকার লুপ্ত হয়। যথা—নাঙ্গল + আ =নাঙ্গল, চাস + আ =চাসা, ধোব= আ =ধোবা, রোগ+ আ =রোগী, পুত্র শোক + আ = পুত্র শোক, জঙ্গল+ আ = জঙ্গলা ইত্যাদি । নিপাতনে—কাম + আ =কমিলা, কৰ্ম্ম + আ =কৰ্ম্ম, কৰ্ম্মঠ । টীকা—তিম স্বর বিশিষ্ট শব্দের যদি অস্ত্যে দীর্ঘ স্বর থাকে তবে মধ্যের আকার য়ই উচ্চারিত হয় না । যথা—আমরা, তোমরা, পাবনা, পাটনা, বাঙ্গল, পাগলা জঙ্গলী, চালনী, হুগলী শব্দের উচ্চারণ কালে আমরা, তোম্রা, পাবন, পাটুন, বাংলা, পাগল, জংলী, চালনী, হুগলী উচ্চারণ করিতে হয়। ৩৭৭ সূত্র । সৰ্ব্বনামের পর স্থানার্থে “থা” এবং থায় প্রত্যয় হয় যেমন এখায় এথা, তথায় বা ওথ, কোথায় বা কোথা ইত্যাদি । ৩৭৮ সূত্র । অতি নিশ্চয়ার্থ শব্দের উত্তর হি প্রত্যয় হয়। হি প্রত্যয়ের ই থাকে। যথা তোমারই লেখা, আমারই পুস্তক, গাছই কাটিব ইত্যাদি । ৩৭৯ স্বত্র। অসংস্কৃত শূন্ধের উত্তর "তৎ সম্পৰ্কীয়” এই অর্থে অতী প্রত্যয় হয়। যথা বাপ +অতী=বাপাতী, শারীকৃ+অতী=শারীকতী, বাণিয়া + অতী= दांभिघांडौ शेर्डाॉनि ।
