পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষার উৎপত্তিও ব্যাকরণ শাস্ত্রের প্রয়োজন। ১ । একজনের মনোগত ভাব অপরের নিকট ব্যক্ত করিবার যে উপায় তাহার নাম ব্যঞ্জন । ব্যঞ্জন দুই প্রকার, ( ১ ) ভাষা ও (২ ) ইঙ্গিত। ২. নির্দিষ্ট অর্থযুক্ত শব্দ দ্বারা মনোগত ভাব ব্যক্ত হইলে তাহর নাম ভাষা। ৩ । অনির্দিষ্ট শব্দ দ্বারা কিংবা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিক্রিয়া দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ হইলে তাহার নাম ইঙ্গিত বা অস্পষ্ট ভাষা। ৪ । মনুষ্য জাতির স্বাভাবিক কোন ভাষা ছিল না। আদিম মনুষ্যেরা কেবল ইঙ্গিত দ্বারাই প্রথমে মনের ভাব কথঞ্চিৎ প্রকাশ করিত। যখন তাহদের জ্ঞান বৃদ্ধি হইল অর্থাৎ যখন তাহারা অনেক বস্তু দেখিতে লাগিল, নানা প্রকার কার্য্য ও অবস্থা দেখিতে লাগিল, তখন সাধারণ ইঙ্গিত দ্বারা তাহদের প্রয়োজন সাধিত হইতে পারিল না । তখন তাহারা দলবদ্ধ হইয়া প্রত্যেক বস্তুর, প্রত্যেক অবস্থার এবং প্রত্যেক কার্য্যের প্রতি লক্ষ্য করিয়া এক একটি শব্দ করিল এবং পরস্পরকে বুঝাইল যে অতঃপর আমরা এই এই শব্দ দ্বারা অমুক অমুক বস্তু কাৰ্য্য বা অবস্থা বুঝিব। এইরূপে বহুতর বস্তু, অবস্থা ও কাৰ্য্যের নামাকরণ হইলে ক্রমশ ভাষা স্থষ্ট হইল। ৫ । মূল ইঙ্গিত গুলি প্রায় সমস্তই স্বাভাবিক এজন্য বিভিন্ন ভাষী লোকেরাও পরম্পরের ইঙ্গিত বুঝিতে পারে। অনেক ইঙ্গিত পশু পক্ষীরাও বুঝে । কিন্তু ভাষা স্বাভাবিক নহে। অধিকাংশ নামের সহ তত্ত্বোধক বস্তু, কাৰ্য্য বা অরস্থার কোন সম্বন্ধ নাই সুতরাং যাহাঁরা পরামর্শ করিয়া নামাকরণ করিয়াছিল সেই নাম শুনিয়া কেবল তাহারাই এবং তাহদের নিকট শিক্ষিত লোকেরাই নির্দিষ্ট বস্তু কাৰ্য্য বা অবস্থা বুঝিতে পারিত । অন্ত লোক তাছা বুঝিতে পারিত না । তজ্জন্ত অপর লোকে সেই বস্তু, সেই কাৰ্য্য এবং অবস্থার অন্য প্রকার নাম রাখিয়া । ভাষা মধ্যে