ভাষা বিজ্ঞান ৷ >ミふ ৪৭০ স্বত্র। পদ্যের এক এক পংক্তিকে এক এক চরণ বলে। শ্রুতি মাধুৰ্য সম্পাদন জন্ত প্রত্যেক চরণে কোন এক নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর থাকে। * > ৪৭১ স্বত্র । বাঙ্গলা ভাষায় দুই চরণে এক শ্লোক হয়। কিন্তু আদি ভাষায় চারি চরণে এক শ্লোক হয় । কোন কোন ছন্দে বাঙ্গালাতেও চারি চরণে শ্লোক হয় । 博 আলোচন ৮.মে বাক্য শ্রুতিমধুর তাঁহাই পদ্য স্বতরাং তাঁহাতে অর্থ এবং ভাবের উৎকর্ষ না থাকিলেও তাঁহাকে পদ্য বলা যায়। অত্যুৎকৃষ্ট ভাবার্থপূর্ণ বাক্যও শ্রুতিমধুর না হইলে তাঁহাকে পদ্ধ বলা যায় না। অথচ অর্থহীন মিষ্ট শব্দরাশিকেও পদ্য বলা যায় না । মিষ্ট বাদ্য, কোকিলের ধ্বনি,–পদ্য নহে। কারণ ঐ সকল মিষ্ট শব্দের কোন মনোগত ভাব সম্পূর্ণ ব্যক্ত না হওয়াতে তাঁহাদেক বাক্য বলা যায় না এবং যাহা বাক্য নহে তাহা কেবল সুশ্রাব্য বলিয়া পদ্য হইতে পারে না। যে শব্দগুলি সুশ্ৰাব্য অথচ যাহাঁদের দ্বারা একটি মনোগত ভাব ( সেই ভাব ভালই হউক বা মনাই হউক ) সম্পূর্ণ ব্যক্ত হয় তাহারাই পদ্যের উপকরণ । ৪৭২ স্থত্র। পদ্যের প্রত্যেক শ্লোকে এক বা তদধিক বাক্য শেষ হওয়া উচিত। যদি দুইটি শ্লোকে একমাত্র বাক্য শেষ হয় তবে সেই দুই শ্লোককে "এক যুগ্মক” বলে। দুইয়ের অধিক শ্লোকে একমাত্র বাক্য সমাপ্ত হইলে, তাহদেক “কুলক” বলা যায়। ৪৭৩ স্থত । পদ্যের প্রত্যেক চরণে অস্তে এবং মধ্যবৰ্ত্তী কোন কোন স্থানে যতি চিহ্ল ব্যতীতও অৰ্দ্ধ বিপল স্বরপাত করিতে হয় । এইরূপ স্বরঃপাতনের নাম পদ্য যতি | টীকা। যে স্বরে পদ্য যতি পরে তাহা কোন শব্দের অস্ত্যস্বর হওয়া উচিত। কিন্তু এই নিয়ম তোটকে প্রযুজ্য নহে এবং আদি ভাষার পদ্যে প্রযুজ্য নহে । ৪৭৪ স্বত্র। পদ্যের কোন এক চরণের বা চরণাংশের অন্ত্য দুই তিন বর্ণের সহিত অন্ত চরণের বা চরণাংশের অস্ত্য দুই তিন বর্ণের যে মিলন তাহার নাম সঙ্গতি বা সমন্বয় । 嘛 o छ्न्ल६ ।। ৪৭৫ স্বত্র। পদ্যের মিষ্টতা সম্পাদন জন্ত নানাপ্রকার নিয়ম অবলম্বন করিয়া লিখিতে হয় । প্রত্যেক নিয়মকে এক এক ছন্দ বলে ।
