পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tR বাঙ্গালা ব্যাকরণ । মর গিয়া পাপিয়সি ! রশি দিয়া গলে । অনলে, গরলে, কিম্বা বাপ দিয়া জলে ৷ ৩৩। বাক্যের তেজস্বিতার নাম ওজঃ গুণ । ইহা বীর ও রৌদ্র রসেই বিশেষ প্রয়োজনীয় l, o ৩৪। বাক্যের ভাব বোধার্থ সুগমতার নাম প্রসাদ গুণ । ইহা প্রধানতঃ উপমালঙ্কারাৎ উৎপন্ন হয় । টীকা। একই বাক্যে একাধিক গুণ থাকিতে পারে। যথা— উঠ শীঘ্র বীরবর্গ উগ্র বম্ বন্ধ রবে। শক্ৰ গৰ্ব্ব কর খৰ্ব্ব প্রচণ্ড আহবে ৷ ৩৫। শ্রুতি কার্কশ্বের নাম কাঠিন্ত দোষ । যে সমস্ত হলবর্গের উচ্চারণ মৈত্র নাই, তাহদের অব্যবহিত পরে পরে স্থাপন করিলে এই দোষ ঘুটে । যেমন কযশ, কচ, ধপ ইত্যাদি । এই দোষ বাঙ্গালার স্তায় মিষ্ট ভাষায় কদাচিৎ ঘটে । ৩৬। যে বাক্যের বা দৃষ্টাস্তের ভাব সহজে বোধগম্য না হয়, তৎপ্রয়োগে কৃচ্ছত দোষ হয়। যথা— আমার বচনে দেও কুন্তীর নন্দন । মৎস্ত রাজপুত্র পরে করহ অর্পণ ॥ এই বাক্যে কুন্তীর নন্দন শব্দের অর্থ কর্ণ এবং মৎস্ত রাজপুত্র অর্থ “উত্তর”। এই দুই ব্যক্তির নাম “শ্রবণেক্রিয়" এবং “প্রতিবাক্য” অর্থে প্রয়োগ হইয়াছে। এইরূপ ভাব অভিধান ও ব্যাকরণ মতে পরিশুদ্ধ নহে এবং সহজে অনুমিত হয় না। অতএব এই বাক্যে কৃচ্ছ, দোষ হইয়াছে। টকা। যেখানে মূলাং দৃষ্টান্ত আরও কঠিন হয়, সেখানেও কৃচ্ছ দোষ হয়। মোগল পাঠানে যুদ্ধ অতি ভয়ংকর। ভূটিয়া চীনেতে পূৰ্ব্বে যাশ সমর ॥ বোধ সোঁকাৰ্য্যার্থেই পৃষ্টান্ত দিতে হয়। স্বতরাং স্থাৎ ষ্টান্তটি সমধিক প্রসিদ্ধ হওয়া উচিত। উপরি উক্ত প্লেকের মূল ঘটনা মোগল পাঠানের যুদ্ধ অনেকেই জানে, অথচ তাহার উপমান চীন ও ভূটিয়াদের যুদ্ধ অধিকাংশ লোকেই