পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রকরণ। শবদ । ৯ণ স্বত্র। জড় পদার্থের নির্ঘাত তাড়িত বায়ু আমাদের কর্ণ কুহরে প্রবেশ করিলে, আমরা যাহা অনুভব করি তাহার নাম শব্দ । ৯৮ সুত্র। অর্থ যুক্ত শব্দের নাম ‘নাম এবং সেই নাম বিভক্তি যুক্ত হইলে অর্থাৎ বাক্যে প্রযুক্ত হইলে, তাহাকে পদ বলা যায় । টীক। যে ভাষায় যে শব্দ প্রচলিত আছে সেই শব্দকে সে ভাষায় নাম বলা যায়। যে শব্দের যে ভাষায় অর্থ নাই, সেই শব্দের অন্য ভাষায় অর্থ থাকিলেও তাহাকে নাম বলা যায় না । ৯৯ স্থত্র শব্দ দুই প্রকার যথা সব্যয় এবং অব্যয় । ( ১ ) যে সকল নাম বিভক্তি যোগে রূপান্তরিত হয়, তাহদের নাম সব্যয় শব্দ । সব্যয় চারি প্রকার। যথা বিশিষ্য, সৰ্ব্বনাম, বিশেষণ, এবং ক্রিয়া । ( ২ ) যে সকল শব্দের উত্তর কোন বিভক্তি প্রকাশ হয় না অথবা বিভক্তিযোগে একই আকৃতি সৰ্ব্বত্র থাকে, তাহারা অব্যয় । অব্যয় ছয় প্রকার। বিশেষনীয় বিশেষণ, ক্রিয়া বিশেষণ, উপসর্গ, যৌগিক শব্দ, আকস্মিক শব্দ, • এবং আসঙ্গিক শব্দ । ১০০ সূত্র । শব্দের গুণ ও সম্বন্ধ ব্যাখ্যা করাকে তাহার পরিচয় করা বলে । বিশিষ্য বা সংজ্ঞা । ১০১ স্বত্র । বস্তু, বিষয়, অবস্থা ও গুণের নামকে বিশিষ্য বা সংজ্ঞা বলে । ১০২ সুত্র। বিশিষ্যের পরিচয় করিতে তাহার প্রকার, লিঙ্গ, বচন, বিভক্তি ও কারক বলিতে হয় । টিপ্পণী। সমুদায় বিশিষ্যই প্রথম পুরুষ সুতরাং সংজ্ঞার পুরুষ নির্ণয় নিম্প্রয়োজন। কিন্তু কখন কখন বিশিষ্যে মধ্যম পুরুষের ভাব অধ্যাস করিয়া সম্বোধন করা যায় যথা—হে বৃক্ষ ! হে সমুদ্র ইত্যাদি।