পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ বাঙ্গালী ব্যাকরণ । সম্মতি দেওয়া সকলেরই উচিত। আমাদের দেশে কেবল এই উপায়েই অভাব পূরণ হইতে পারে। প্রথমার একবচনে "অ" বিভক্তি লেখা হইয়া থাকে কিন্তু সেই “অ’ বিভক্তি দ্বারা কোন ফলই হয় না। পক্ষান্তরে "ই” বিভক্তি সৰ্ব্বদাই সমধিক উপকারী । “ই” সৰ্ব্বনাম শব্দের উত্তর প্রকাশ থাকে এবং সকৰ্ম্মক ক্রিয়ার কর্তাতে অনেক সময়ে প্রকাশ থাকে। তাহার দৃষ্টান্ত পরে প্রদত্ত হইবে। আদি ভাষায় প্রথমার একবচনে *সি” হয়, তদনুসারেও বাঙ্গাল ভাষায় "ই” প্রত্যয় হইলে অপেক্ষাকৃত ঐক্য থাকে । দ্বিতীয়াতে "ক" এবং “দেক” প্রত্যয় সচরাচর ব্যাকরণে লেখা হয় না । কিন্তু কথোপকথনে তাহ প্রচলিত আছে। পরন্তু "দিগকে” বিভক্তি অতিশয় দীর্ঘ ও কর্কশ সুতরাং তাহ পষ্ঠে অব্যবহার্য্য অথচ “দেক” বিভক্তি সৰ্ব্বত্র ব্যবহৃত হইতে পারে। তৃতীয়ার কোন বিভক্তি না থাকায়, তাহার বিভক্তি আমি নূতন স্থষ্টি করিলাম। এই বিভক্তি মিষ্ট এবং প্রয়োগের উপযুক্ত । এ পর্য্যন্ত দিয়া, দ্বারা, কর্তৃক প্রভূতি শব্দ সমুদায় যোগে তৃতীয়ার বিভক্তির কার্য্য করিতে হইত। এখনও সেই নিয়ম রহিত করিবার আবশ্বক নাই। স্বেচ্ছাক্রমে উভয় নিয়মই অনুসরণ করা যাইতে পারে । পঞ্চমীর বিভক্তি না থাকায়ু, সংস্কৃত পঞ্চমীর একবচনের বিভক্তি বাঙ্গালায় প্রয়োগ করিলাম। এ পর্য্যন্ত “হইতে” ও “থাকিয়া” এই দুইটি অসমাপিকা ক্রিয়ার সাহায্যে পঞ্চমীর বিভক্তির কার্য্য করিতে হইত । এখনও সেই নিয়ম সম্পূর্ণ ত্যাগ করিবার আবশ্বক নাই । প্রয়োজন মতে উভয় প্রকারই প্রয়োগ হইতে পরিবে । অষ্টমীতে ঠিক প্রথমার বিভক্তি লেখা হইত অথবা কোন বিভক্তিই লিখিত হইত না । বিশেষ প্রয়োজন সাধক জন্ত আমি সম্বোধক চিহ্র যোগ করিয়া কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করিলাম । * ১২০ সূত্র । শব্দের সহিত বিভক্তি যোগ করা কালে, শব্দ ও বিভক্তির যে সকল পরিবর্তন হয়, তাহার নাম বিভক্তির প্রক্রিয়া ।

  • পারসী ভাষার "দিগর” শব্দের অর্থ আরো ইত্যাদি । সেই দিগর শব্দে অস্তু র কার ত্যাগ করিয়া দিগ শব্দ বহুবচনের বিভক্তি রূপে ব্যবহৃত হয় ।