পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষা বিজ্ঞান । (FS কিম বা কাহা শদের তুচ্ছার্থক রূপ। এইরূপটি কেবল ক্লীব লিঙ্গেই ব্যবহৃত হয়। একবচন বহুবচন প্রথম কি কি কি দ্বিতীয়া কি কি কি তৃতীয় কিসেৎ কিসেৎ কিসেত চতুর্থী কিসে কিসে কিসে পঞ্চমী কিসাৎ কিসাং কিসাৎ ষষ্টি কিসের কিসের কিসের সপ্তমী কিসে কিসে কিসে ১৬২ সূত্র । সৰ্ব্বণামে অষ্টমীর বিভক্তি যোগ হয় না । কিন্তু গানে তোমা ও কাহা শব্দের সমানার্থক রূপের পর “হে” “রে” প্রভৃতি সম্বোধক শব্দ যোগ করিবার রীতি আছে। যেমন— ( ১ ) তুমি হে নিষ্ঠুর বড় । ( ২ ) কে হে তুমি গুণাকর । বিশেষণ । ১৬৩। বিশিষ্য ও সৰ্ব্বণামের গুণ, সংখ্যা এবং আয়তন প্রকাশক শব্দের নাম বিশেষণ । যেমন সুন্দরী কস্তা, পাচ জন, দীর্ঘ বর্ণনা ইত্যাদি । প্রাচীন বৈয়াকরণ গণ বিশেষণ শব্দ গুলিকে কেবল বিশিষ্যের গুণ প্রকাশক বলিতেন । কিন্তু অনেক সময়ে বাক্য মধ্যে বিশিষ্য প্রকাশ থাকে না তৎপরিবর্ক্সে সৰ্ব্বণাম মাত্র থাকে। এরূপ স্থলে প্রাচীন পণ্ডিত গণ, উক্ত সৰ্ব্বণাম যে বিশিষ্যের প্রতিভূ। সেই বিশিষ্যের বিশেষণ বলিতেন। কিন্তু আধুনিক বাঙ্গালী ও ইংরেজ বৈয়াকরণের তাঁহা সঙ্গত বোধ করেন না । যে বাক্যে বিশিষ্য প্রকাশ নাই, আধুনিক পণ্ডিতগণ তাদৃশ স্থানে, বিশেষণ শব্দ গুলিকে বিশিষ্য স্থলীয় সৰ্ব্বনামেরই বিশেষণ বলেন । আমার ও সে মতটিই যুক্তি যুক্ত বোধ হয়। যেমন "তিনি যেমন বিদ্বান তেমনি বুদ্ধিমান” এই বাক্যে বিদ্বান ও বুদ্ধিমান শব্দদ্বয়কে তিনি শব্দের বিশেষণ বলাই সুবিধাজনক। ঈদৃশ স্থলে তিনি শঙ্কট যে বিশিষ্যের প্রতিভূ সেই শব্দটি অল্প বাক্য হইতে উদ্ধার করিয়া উক্ত বিশেষণ দুইটিকে তাঁহারই বিশেষণ বলিতে গেলে অত্যন্ত অসুবিধা হয় ।