পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলা ব্যাকরণ । سولاوئ ২১২ স্বত্র। অনুজ্ঞায় গণপ্রত্যয়ের আকৃতি । শুদ্ধ ভবিষ্যৎ । নিত্য ভবিষ্যৎ । সম্মানে ইবেন ইতে থাকিবেন মধ্যম পুরুষ 4 সমানে ইও ইতে থাকিও তুচ্ছে টিস টিতে থাকিস ক্রিয়ার রূপ । , ২১৩ স্বত্র । ক্রিয়ার রূপ দুই প্রকার ( ১ ) বিশুদ্ধ ও বিমিশ্র । ( ১ ) যে ক্রিয়ার রূপ করিতে হইবে তাহার ধাতুর উত্তর গণপ্রত্যয় যোগ করিলে, ক্রিয়ার বিশুদ্ধরূপ হয় | 蟾 { ২ ) যে ক্রিয়ার রূপ করিতে হইবে, তাহার ধাতুতে “অনচ্‌” করিয়া সেই শব্দের পর অন্ত ক্রিয় বসাইয়া রূপ করার নাম বিমিশ্রিত বা সহকৃত রূপ। যেমন গমন করি, ভ্রমণ করিয়াছি, সেবন কবিতাম ইত্যাদি। আলোচনা । বাঙ্গালায় অনেক ক্রিয়ার স্বাভাবিক বিশুদ্ধরূপ অপ্রচলিত । কতক ক্রিয়ার কোন কোন কালে বিশুদ্ধরূপ আছে আর অন্যান্ত কালে নাই । যেমন ‘গমৃ ধাতুর ভূত কালে বিশুদ্ধরূপ আছে কিন্তু বৰ্ত্তমানে ও ভবিষ্যতে নাই। “ভূ” ধাতুর বিমিশ্ররূপ কদাচিৎ দেখা যায়। কু এবং “পার” ধাতু অন্য ক্রিয়ার সহিত মিলিত না হইলে কোন অর্থ হয় না । গদ্য অপেক্ষ পদ্যে ক্রিয়ার বিশুদ্ধ রূপ অধিকতর দেখা যায়। পদ্যে অনেক সময়ে অধিক কথা অল্প শব্দেত লিখিতে হয় । তজ্জন্ত পদ্যে বিশুদ্ধরূপ অতি প্রয়োজনীয়। পরস্তু ক্রিয়ার বিশুদ্ধরূপ অধিকতর তেজস্বী জন্য পষ্ঠে অতি আবস্তক। সমুদায় ক্রিয়ারই বিশুদ্ধ রূপ থাকা উচিত। বিশুদ্ধরূপের অভাবই বাঙ্গালা রচনার নিস্তেজত্বের কারণ । যে সকল ক্রিয়ার বিশুদ্ধরূপ নাই তাহা ক্রমে ক্রমে ব্যবহার করা উচিত। যদিও প্রথমে তাহ ভাল না লাগে পরে ক্রমশঃ ভাল লাগিবে এবং তাহাৎ পষ্ঠ রচণায় প্রচুর উপকারী হইবে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই কারণে অগত্য অনেক ক্রিয়ার বিশুদ্ধরূপ নূতন স্থাই করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু তাহার কয়েকটি দোষ হইয়াছিল । তিনি স্থানে স্থানে ক্রিয়াবাচক বিশিষ্যের উত্তর বিভক্তি