পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এপিডেমিক ড্রপসি বা সংক্রামক শোখ। ( পূর্ব প্রকাশিতের পর ) লেখক—শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার দেবেন্দ্রনাথ রায় এল, এম, এস্ ডেলানি সাহেব নিম্নলিখিত জেলগুলি পরিদর্শন করেন ;–যথা, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শ্ৰীহট্ট, গৌহাটি, মৈমনসিংহ, শিলং, তেজপুর, ফরিদপুর, ঢাকা, এবং রামপুর বোয়ালিয়া । প্রত্যেক স্থানে বেরি বেরি বা এপিডেমিক ড়পসির উপস্থিতি সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে তদন্ত করেন। পরিদর্শনের ফলে তিনি যে সকল সিদ্ধাস্তে উপনীত হয়েন, তাহার মৰ্ম্ম এইরূপ :– (১) পূৰ্ব্ববঙ্গ এবং আসাম বিভাগের জেল সমূহে বেরি বেরি একেবারেই নাই এবং য়ে সকল রোগী ইদানীং আক্রান্ত হয় তাহারা বেবি বেরি দ্বারা আক্রাস্ত হয় নাই । (২) ঐ রোগের প্রকৃত নাম এপিডেমিক ড় পসি । (৩) তাহার ধারণা—এপিডেমিক উপসি শ্ৰীহট্ট ও শিলং জেলে ১৮৭৮–৭৯ সাল হইতে বিদ্যমান আছে । ( s ) আসামে বেরি বেরি রোগ নির্ণয় সম্বন্ধে বিশেষ গোলযোগ আছে, এমন কি যে, কোন কারণেই শেখ হউক না কেন সে শোথকে বেরি বেরি বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হইত । ডেলানি সাহেবের মতে ছুটি রোগের ৰিভিন্নতা, নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে বেশ বুঝিতে পারা যায়— (ক) ৰেরি-বেরিতে শতকরা ৯৫টি ক্ষেত্রে জঙ্ষাক্ষেপ প্রথমে বৃদ্ধি হয় এবং পরে লোপ পায়। কিন্তু ডপসিতে শতকরা ৩টিতে কম থাকে কিম্বা লোপ পায় । (খ ) বেরি-বেরির প্রধান লক্ষণ— অসাড়তা এবং এই অসাড়তা প্রত্যেক রোগীতে অল্প বিস্তর বর্তমান থাকে । কিন্তু ডপসিতে যদিও অসাড়ত থাকে, ইহা শোথ স্থান ভিন্ন অপর কোথায় দেখা যায় না । க). (গ ) বেরি-বেরিতে প্রকৃত পক্ষাঘাতের লক্ষণ প্রকাশ পায় যথা—পদাঙ্গুষ্ঠের পতন, মণিবন্ধের পতন, ইত্যাদি। উপসিতে যদিও অল্প মাত্রায় পক্ষাঘাতের লক্ষণ সকল প্রকাশ পায়, কিন্তু সে সকল কেবল হস্ত পদাদিতে শোথের কারণ। (ঘ) বেরি-বেরিতে পেশী সকলে চাপ দিলে ব্যথা বোধ হয় এবং এই ব্যথা শোখযুক্ত ও শোথশূন্ত স্থানে সমভাবে বোধ হয়। কিন্তু ভূপসিতে স্পৰ্শবোধাধিক্য কেবল মাত্র শোথযুক্ত চৰ্ম্মে এবং চৰ্ম্ম নিম্নস্থান সকলে বর্তমান থাকে । (ঙ ) যদিও ড় পলি রোগে কতকগুলি ক্ষেত্রে সাৰ্ব্বাঙ্গিক ক্ষীণতা দেখিতে পাওয়া যায় এবং যদিও এই গুলি শীর্ণতাযুক্ত । বেরি-বেরির স্তায় দেখায়, তথাপি রোগীরা নড়িতে চড়িতে পারে এবং বেশী দিন শয্যাশায়ী থাকে না । (চ) বেরি বেরিতে অনেক গুলি ক্ষেত্রে । इछेॉ९ यूङ्क) इग्न ७ष९ cष गच cब्रांशौ अन्न