পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মে, ১৯০৯ ] ইচ্ছা বসন্ত রোগের চিকিৎসা । >やり○ পঞ্চম, সপ্তম, নবম, একাদশ বা ত্রয়োদশ দিবসে জর স্বতঃই ত্যাগ হয়, এবং জর ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই ফুসফুসম্প্রদাহেরও শাস্তি হইয়া আইসে ; সদি আমরা কোনও প্রবল জরয় ঔষধি প্রয়োগ করি, তবে ফুসফুসপ্রদাহ ব্যাধির শাস্তি না হইয়া বরং অহিত হইবারই সম্ভাবনা । বসন্তও ঐরূপ প্রকারের ব্যাধি । উহার বিষ প্রায় ১২ দিবস দেহের ভিতরে গুপ্ত ভাবে থাকিয়৷ বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে ; পরে প্রবল জরের আকারে বিষ প্রথমে দেখা * দেয় ; জরের স্বত্রপাতের চতুর্থ দিবসে গাত্রে গুটিকা দেখা । দেয় ; অষ্টম দিবসে উহারা পাকে ; দ্বাদশ দিবসে পাকার চরম অবস্থা ; ষোড়শ দিবসে উহার শুষ্ক হইয়া আইসে ; এই রূপ ক্রমাগতিক পর্য্যায় প্রায় অধিকাংশ রোগীতেই দেখা যায় । কাহার সাধ্য এই পর্যায়ের ব্যতিক্রম ঘটায় ? কাহার ক্ষমতা আছে জরের প্রথম দিবসেই গুটিকা বাহির করাইয়া দেয় ? কাহার সাধ্য পাচ দিবসের মধ্যে সমস্ত ভোগ কালকে সীমাবদ্ধ করিতে পারে ? ৷ তাই বলিতেছি—বসন্ত একটা সসীম ব্যাধি – কেহ না চিকিৎসা করিলেও ইহা অারোগ্য হইতে পারে। কেহ চিকিৎসা করিয়া ইহার ব্যত্যয় করিতে পারেন না, ইহার বিষের প্রাখৰ্য্য বা তীব্রতার কথঞ্চিৎ হ্রাস করিতে পারেন মাত্র । সত্য বটে আমাদের দেশের দুই একজন ব্যক্তি দুই একটা ভেষজের বিশেষ ধৰ্ম্ম অবগত আছেন ; তাহাই বলিয়া যে ব্যক্তির একটা শীতলাদেবী আছেন বা যে ব্যক্তি ব্রাহ্মণ তিনিই যে छू ইফোড় ৰসস্ত চিকিৎসক, এমন কথা নহে । ব্রাহ্মণদেৱ” করিয়াছি। দেখিয়া পক্ষপাতিত শূন্ত হইয় বলিতে পারি যে— এই বৎসরে যে দারুণ পরিমাণে বসন্ত হইয়াছে, পূৰ্ব্বে কলিকাতায় কখনো এমন হয় নাই—অন্ততঃ বিগত চল্লিশ বৎসরে এমন কখনো হয় নাই । এই দারুণ বসন্ত মহামারীর সময়ে আমি স্বয়ং কতকগুলি বসন্ত, গ্রস্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করিয়াছি এবং বহুসংখ্যক “টিকের বামুন” বা “শীতলার চিকিৎসা প্রণালীও লক্ষ্য (ক) পাশ্চাত্যমতে চিকিৎসক —রোগীকে ঘৃণা করেন, রোগীর নিকটবৰ্ত্তী হইতে ভীত হন, রোগীকে সম্যক পরীক্ষা করেন না ; . কাজেই রোগীর আত্মীয় স্বজনের বিরাগভাজন হন এবং প্রাণের দায়ে স্পষ্টই মিথ্যা কথা বলেন—“এলোপ্যাথিতে ইহার চিকিৎসা নাই।" যিনি এইরূপ প্রচার করেন তিনি ঘোর মিথ্যাবাদী, প্রবঞ্চক। (খ) শীতলা-ব্রাহ্মণ – ধৰ্ম্মবলে বলীয়ান তিনি রোগীকে রীতিমত স্পর্শ করিতে ভীত হন না, তিনি রোগীকে র্তাহার নিজ বুদ্ধি (?) অনুসারে পরীক্ষা করেন, এবং সদা সৰ্ব্বদা গৃহস্থকে শীতলার নামে দোহাই দিয়া, শীতলার নামে ভীতি প্রদর্শন করাইয়া, শীতলার নামে মানস করাইয়া, শীতলার নামে আশ্বাস অাশা দিয়া অকাতরে একপ্রকার প্রকাশু ডাকাইতি করিয়া অর্থশোষণের প্রবল চেষ্টায় রত থাকেন । র্তাহাদের মধ্যে অনেকেই নিরক্ষর, অনেকেই পাপও কদভ্যাস কলুষিত, অনেকেই কাণ্ডাকাও জ্ঞান বর্জিত। তাহারা বসস্তের কোনই তথ্য জানেন না ; তাহারা বসত্তের নিদান সম্বন্ধে