পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

晦 وارا لا ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ G, సిసితిని —রোগী বঁাচে বা মরে, কাহারে হাত নাই । এমন স্থলে, ইহার চিকিৎসাও কিছু নাই একথা একপ্রকার নিঃসঙ্কোচে বলা যাইতে পারে। যখন এই ব্যাধিটি প্রকাশ পাইয়াছে তখন কাহারও এমন ক্ষমতা নাই যে একতিল ইহার নির্দিষ্ট গতির ব্যতিক্রম ঘটাইতে পারে । অতএব আমাদের ক্ষমতা প্রকাশের সুযোগ, আমাদের উপকার করিবার সাধ্য কখন ? যখন রোগ প্রকাশ পায় নাই, যখন ইহার সকল লক্ষণ ফোটে নাই, তখন আমরা কিছু করিতে পারি ; আর, যখন সকল লক্ষণের পূর্ণ বিকাশ zotze, son (Complications) both of নিৰারণ করিবার চেষ্টা করিতে পারি এতছভয় কথা, সকলেরই প্রণিধান পুৰ্ব্বক চিস্ত করিয়া দেখা উচিত । রোগের পূর্ণ বিকাশের বহু পূৰ্ব্ব হইতেই, আপৎপাতের স্বত্রপাত হইতে থাকে—তখনকার একদিন হেলায় হারাইলে, পরে দশ দিবসের ক্ষতি এককালীন ভোগ করিতে হয় । তখন কোনও উপায় করিলে হয় ত রোগটি নিবারিত হইতে পারিত,কারণ তখন সবে মাত্র ৰলক্ষিয়ের স্বত্রপাত হইয়াছে, রক্তের দোষ জন্মিতে আরম্ভ করিয়াছে মাত্র, শরীরের দুর্গ প্রাকার আক্রাস্ত হইয়াছে মাত্র। তখন আমরা জানি না, রোগীর ফুসফুস প্রদাহ হইবে,কি ইচ্ছা ৰসস্ত হইবে, কি হাম হইবে—কিন্তু সুধু নামে ত পেট ভরে না ; নাই বা জানিলাম যে এই ব্যক্তির এই রোগটি হইবার উপক্রম হইতেছে, কি ঐ রোগটি হইতেছে—এষ্টটি ত আমরা বুৰিতে পার যে রোগীর কোনও ব্যাধির— স্বতঃ সীমাবদ্ধ ব্যাধির স্বত্রপাত হইতেছে । এমন অৰস্থায় তৰে কেন এমন সুযোগ C. ছাড়ি ? অনেকে হয় ত বলিবেন, “যদি রোগই নাই বুঝিলাম, তবে অন্ধকারে লোষ্ট্রনিক্ষেপবৎ কি চিকিৎসা করিব ? এক রোগের চিকিৎসা করিতে যাইয়া, হয় ত অপর রোগের স্বত্রপাত করিয়া বসিব—হিতে হয় ত বিপরীতই হইবে" । এই অমুলক আশঙ্কার উত্তরে আমরা বলিতে চাই যে আমরা যে চিকিৎসার অবতারণা করিতে চাই তাহ স্বাস্থ্য-বিধান-সন্মত—তাহা৩ে শরীরের বলাধান হয় বৈ, ক্ষয় হয় না । যে কোন ও তরুণ ব্যাধির সঙ্গে সঙ্গেই সৰ্ব্ব প্রথম হইতে, এবং সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী, পর্যুদন্ত কে হয় ? হৃৎপিণ্ড ও রক্তরস পুৰ্ব্বাপর বরাবরই সৰ্ব্বাপেক্ষা জব্দ হয়। আজ যে ফুসফুস ব। ত্বকে সামান্ত রক্তাধিক্য হইয়াছে, কালে সেই ফুসফসে বা ত্বকে রক্ত চলাচলের স্থান থাকিবে না, ক্ষয়িত ও মৃত কোষরাশি ও অন্তান্ত আবর্জন ও বিষ রক্তের তাবৎ প্রণালীর মধ্যেই বহুল পরিমাণে পাওয়া যাইবে —এত বেশী, যে রক্তের চলাচল হয় ত ঠিক হইতে পারবে না, বিশেষতঃ, লসিকা, ধমনী মধ্যে অনেক স্থলে রীতিমত আবর্জন শুপ জমিয়া যায় ; তদ্ধেতু প্রযুক্ত হৃৎপিণ্ডের পরিশ্রমের মাত্রাধিক হয়, হৃৎপিও বিষাক্ত হইয় পড়ে, ক্রমে হৃৎপিণ্ডের প্রত্যেক পৈশিক তত্ত্ব বিধ্বস্ত হইয়া পড়ে । রক্তে আবর্জনা ও বিষ সঞ্চয়ের হেতু স্নায়বিক অবসাদ, স্নায়বিক বোধশক্তির হ্রাস ; যকৃত ও তাবৎ পাকাশয়ের মধ্যে কার্য্যের ব্যতিক্রম, পোর্টাল রক্তের বিষাক্ত অবস্থা, ইত্যাকণব অশেষ প্রকার বিপদ একত্রে ঘনাইয়া আসে । এই সকল অবস্থা পরম্পরের কার্য)ও কারণ হইয়া ৰিপদের উপরে