পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ>● ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ জুন, ১৯০৯ সতর্কতার সহিত আলোচনা হইয়াছিল। কিন্তু গত সন্মিলনীতে এই বিষয়ে আশাতীত প্রচুর পরিমাণে আলোচনা হইয়াছিল । এই টিউবারকুলিনের প্রকৃত মূল্যের বিষয় বিশেষ কিছু আলোচনা হয় নাই। ইহার প্রত্যেক বিভিন্ন আকারের মূল্য সম্বন্ধেই, বিশেষতঃ ইহার কার্য্যপ্রণালী ও মাত্রার বিষয়ের বিভিন্ন মতের বিশেষ আলোচনা হইয়াছে । অনেক লোকেই কক্‌ মহাশয়ের প্রস্তুত নানা প্রকার টিউবারকুলিনের উপকারিতা সম্বন্ধে সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন । এই টিউবারকুলিন ব্যতীত আরো অনেক পূর্বের টিউবারকুলিনের সম্বন্ধে আলোচনা হইয়াছে ; যথা বিরালেকস টিউবারকুলিন যাহা পূৰ্ব্বে পেরিসূ সন্মিলনীতেও উল্লেখ করা হইয়াছিল । এই বিরালেকের টিউবারকুলিন এক্সে-টক্‌সিন এবং এও টকসিনে প্রস্তুত (ক) একৃসোটকৃসিন পেপটোন ৰ্যতীত অন্ত কোন পদার্থে টিউবারকেল বেসিলাই উৎপন্ন করার পর তাহার সার (একস্ট্রাক্ট) মাত্র ; (খ) এওটকৃসিন—শত ভাগের একভাগ অর্থ ফসূফরিক অন্ন দ্বারা টিউবারকেল, বেসিলাইর শরীরের সার মাত্র । ইহা অধত্বাচিক প্রণালীতে বা স্থানিক গ্রন্থি, জঙ্ঘা ইত্যাদির ভিতর ব্যবহার হয়। এই টিউবারকুলিন টিউবারকুলসিস্ ব্যারাম আরোগার্থে সমর্থ বলিয়া বিরালেক ও অন্তান্য যাহার তাহার টাউবারকুলিন ব্যবহার করিয়াছেন র্তাহারা সাক্ষ্য দেন । এই টিউবারকুলিনের যদিও অতি অল্প বিষাক্ত গুণ আছে তথাপি তাহ টিউবারকুল সিস্ রোগীর উপর ব্যবহারে রোগীর নাড়ীর চঞ্চলতা ও শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি, লিউকসাইট সিস্ ইত্যাদি লক্ষণের দ্বারা রোগীর শরীরের উপর ইহার বিশেষ কাৰ্য্য হইয়াছে বলিয়া প্রমাণিত হয়। কেরেনেক মত প্রকাশ করেন যে, টীকার বিষের দ্যায় ইহাও কার্য্য করে এবং এই বিষ যদিও অল্প পরিমাণে অপকারী,তথাপি | রোগীর এই টিউবারকুলসিস্ ব্যারামের বিষ নষ্ট করিবার স্বাভাবিক যে যন্ত্র বা পদার্থ আছে, তাহাকে উত্তেজিত করে ; সুতরাং এই টিউবারকুলিনে শরীরের এই রোগজীবাণু নষ্ট করিবার যন্ত্রকে বা পদার্থকে উত্তেজিত করিয়া টিউবারকেল বেসিলাই নষ্ট করিতে সমর্থ করে । ইহার ব্যবহারের জন্ত তিনি ( বেরালেক ) দুই প্রণালী স্থির করিয়াছেন ( ১ ) ইহার ব্যবহার আরম্ভে ইহার অতি তরল সলিউসন অল্প মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত, বিশেষতঃ জরের রোগীর উপর এই প্রকারে ব্যবহার করা কর্তব্য । ( ২ ) ইহার কার্য্যের মূল্যের পরিমাণ করিতে হইলে অন্ততঃ উপরোক্ত অল্প মাত্রাতেই তিন চারিবার ব্যবহার করা উচিত । ইহার কার্য্য যদি আশানুরূপ বোধ হয় তবে সেই একই মাত্রায় প্রায় মাসাবধিকাল, যে পর্য্যস্ত রোগী এই চিকিৎসায় উপকার বোধ করে, সেই পৰ্য্যস্ত ইহা ব্যবহার করা উচিত। যদি তিন চারি বার এই অল্প মাত্রায় ব্যবহারান্তে কোন উপকার না দেখা যায়, তবে অতি সতর্কতার সহিত অল্প পরিমাণে ইহার মাত্রা বৃদ্ধি করা উচিত। এই মাত্রার বৃদ্ধি সদাই নিয়মিত রূপে অতি অল্প পরিমাণে হওয়া দরকার। যখন যে অল্প মাত্রায় কাৰ্য্যকারী হয় তাহাই তখন উৎকৃষ্ট মাত্রা এবং এই মাত্র অবস্থানুসারে নানা রোগীতে আবশুকামুরূপে হ্রাস বৃদ্ধি করা উচিত । ৰেরালেক এক এক মাত্রী প্রত্যেক |