পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুন, ১৯০৯ ] রোগ, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ । ২১৩ পরিস্ফুট হয়। প্রথমতঃ উহা আত্মরক্ষায়, দ্বিতীয়তঃ বৃদ্ধির দিকে ও তৃতীয়তঃ বহির্জগতের অমুকুল প্রতিকুল সম্বন্ধ নিরূপণে নিয়োজিত দেখা যায়। ভিরকাউ কর্তৃক এই তিন শক্তি পোষণী, নিৰ্ম্মাণ ওঁ কাৰ্য্যকরী শক্তি বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে । সেলমধ্যস্থ রাসায়নিক ক্রিয়া সমূহ কাৰ্য্যকরী শক্তির অঙ্গ বিশেষ ও ইহা কেবল সেলের কার্য্য দ্বারা বুঝা যায়, দেখিতে পাওয়া যায় না। অপর শক্তি সকল, গতি, বৃদ্ধি ও সংখ্যায় বৃদ্ধি, অণুবীক্ষণ দ্বারা বিবিধ প্রক্রিয়াবলম্বনে দেখান যাইতে পারে । মিলিত বা বিযুক্ত সেল পাশ্বস্থ অনুকূল ৰা প্রতিকুল শক্তির প্রভাবে পরিবর্তিত হইয়া কার্য্যকরী শক্তির উন্নতি বা অবনতি আনয়ন করে । কিয়ৎপরিমাণে সেলের আত্মশক্তি, কাৰ্য্যকরী শক্তিকে অক্ষুণ্ণ রাখিতে চেষ্টা করে ৰটে কিন্তু এই স্বাধীনতার সীমা বড় সংকীর্ণ, বাহিরের অবস্থা যদি সামান্তভাবে প্রতিকুল হয়, সেলের কার্য্যকরী শক্তির হ্রাস ও বিকৃতি যত অল্প হউক না কেন, অমনি দেখা দেয় । এইরূপ পরিবর্তন হেতু কোন সেল সময়ে সময়ে প্রায় জীবনী শক্তি বিহীন, এমন কি সম্পূর্ণ নষ্ট হইয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান ङ्ग्रो | এমিবা—উপযুক্ত তরল পদার্থে এমিব নামক জীবাণু যদি অণুবীক্ষণ সাহায্যে নিরীক্ষণ কর, দেখিতে পাইবে যে, ইহার আকৃতি জীবনী শক্তি প্রভাবে সতত পরিবর্তনশাল । ইহার মধ্যস্থ প্রোটপ্লাজমৃ হইতে স্বল্প অংশ লম্বিত ভাৰে বাহির হয় ও নিকটস্থ কোন জব্যে সংলগ্ন হয়, তৎপরে সমগ্র জীবাণুর প্রোটপ্লাজম এই স্বল্প পদানুরূপ অঙ্গের দিকে প্রবাহিত হইয়া মিলিত হয় । তরল পদার্থ মধ্যে কোন প্রকার ভোজ্য আণবিক পদার্থ থাকিলে প্রোটপ্লাজম কর্তৃক গৃহীত হইয়া পরে উহার অংশ বিশেষে পরিণত: হয় | অতঃপর যে তরল পদার্থ মধ্যে এমিবা দেখা যাইতেছে, উহার উত্তাপ বৃদ্ধি করিলে দেখিবে যে, গতি প্রায় স্থির হইয়া আসিতে ছিল, জীবনীশক্তি বাড়ার চিহ্ন স্বরূপ উহ অধিকতর গতিশীল হইল। যদি উত্তাপ আরও বাড়ান যায় দেখিবে—গতি ক্রমশঃ মন্দ হইয়া অবশেষে স্থির হইল । অধিক উত্তপ্ত হইলে এমিবা একেবারে নষ্ট হইয়া যায়, কিন্তু অনধিক উত্তাপ প্রয়োগ হেতু, গতি একবার স্থির হইলেও উত্তাপ কমাইলেই গতিশীলতা আবার ফিরিয়া আইসে । পূৰ্ব্বোক্ত তরল পদার্থ শীতল করিলেও দেখা যায় যে—এমিবা ক্রমে গতিহীন ও স্থির হইয়া গোলাকার সেলের দ্যায় হয় ও পুনরায় উত্তাপ প্রয়োগে গতিশীলতা ফিরিয়া আইসে । উক্ত তরল পদার্থে তীব্র লবণদ্রব মিশাইলে দেখিতে পাইবে যে, উক্ত সেল অস্বচ্ছ বা মলিন ও সংকুচিত হইয় পড়ে ও ইহার পরিধি অসম দেখা যায়। যদি সততবাধী বৈদ্যুতিক স্রোত উক্ত তরল পদার্থে প্রয়োগ কর, দেখিবে যে, সেলটী গোলাকার, স্ফীত, স্বচ্ছ, তরল প্রোটপ্লাজম্যুক্ত বলিয়া বোধ হইবে ও পরে উহা ফাটিয়া একেবারে নষ্ট হয় । এইরূপে স্পষ্টই দেখা গেল—সেলের পাশ্বস্থ অবস্থার অমুকুল বা প্রতিকুল পরিবর্তন হেতু