२88 ভিষকৃন্দৰ্পণ । [ জুলাই, د: ۰ دد 邨 গাড়িতে উঠেন, তখন হইতেই তাহার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হইল। তিনিও কংগ্রেসে যাইতেছেন । আমি বম্বে কখনও দেখি নাই গুনিয়া তিনি একটু হাসিলেন, কিন্তু অামি যখন জিজ্ঞাসা করিলাম—তিনি কলিকাতা দেখিয়াছেন কিনা ?—“ন|” ! সকলেই মনে করেন আপনার দেশ পৃথিবীর কেন্দ্র স্থান। আর আপনার পুর সকলের অগ্রগণ্য। আমি বন্ধে দেখি নাই। সুতরাং আমি পৃথিবীর কিছুই দেখি নাই । তিনি বম্বের অনেক গুণ গাছিলেন। আমরা ষ্টেসন হইতে মামিয়া ব্লার অনায় একখানি টাঙ্গা ভাড়া করিয়া মুন্দর রাজপথ দিয়া চলিলাম। আজ ২০শে ফেব্রুয়ারী, বেলা ১১টা বাজিয়াছে, সূর্য্যের প্রখর তেজ অসহ বোধ হইতে লাগিল ; প্রশস্ত রাস্তার দুই ধারে ঘন পত্র বট ও অাম্রবৃক্ষের ছায়ায় অনেকটা শাস্তি বোধ হইতে লাগিল ; দেখিলাম ষ্টেসনে ঝুড়ি ঝুড়ি আঙ্গুর আসিতেছে, দেখিয়া লোভ ও আনন্দ হইল ; শুনিলাম নাসিক সহর হইতে আসিতেছে ; আরও আনন্দ হইল ; এইবার আঙ্গুরের সাধটা মিটাইয়া লইব ; অামি আঙ্গুরের কিছু বিশেষ ভক্ত ; আজুরের ভক্ত নহেন এমন কেহ আছেন কি না, বলিতে পারেন না।—আঙ্গুরের নাম শুনিলেই আমার মন-পুলকিত হয়, দেখিলে মন প্রফুল্প হয়, খাইলে মনমুগ্ধ হয় । একবার পেশবারে জাঙ্গুর খাইয়া ক্ষুধা নিবৃত্তি করিয়াছিলাম । রাশিয়ার দক্ষিণে লোকে শষ্য ত্যাগ করিয়া আঙ্গুর খায়। প্রাতঃভোজনের পূৰ্ব্বে, সঙ্গে ও পরে, মধ্যাহ্ন ভোজনের পূৰ্ব্বে, সঙ্গে ও পরে, সান্ধেয় ভোজনের পুৰ্ব্বে, সঙ্গে ও পরে এবং শয়নের পূৰ্ব্বে আঙ্গুর খাইরা থাকে। যদি আমাদের দেশে আঙ্গুর হইত, শয়নের সময়টাও আমি আঙ্গুরের সঙ্গ ছাড়িতাম না। অামাদের ঘোড়া দুইটী বেশ শক্ত সামর্থ, গাড়ি দ্রুত চলিতে লাগিল, পাচ মাইল পথ যাইত্তে হইবে ; গুই ধারে মাঠ, প্রায় তৃণশূন্ত ; দেখিতে দেখিতে চলিলাম ; ভাত্তণর কিষণবেকার গল্প করিতে লাগিলেন । বলিলেন— বম্বের মতন সহর আর নাই, তবে তিনি বম্বে ছাড়া আর কোন সহর দেখেন নাই। আমার ইচ্ছা নানা সহর দেখি ; তিনি বলিলেন ৰম্বে দেখিলে অীর অন্ত কোন স্থান দেখিবার ইচ্ছা হইবে না । তিনি বন্ধের নানা তীর্থ দেখেছেন । তবে নাসিক দেখেন নাই ; আমিও দেখি নাই ; তিনিও সব দেখিতে ইচ্ছা করেন, আমিও সব দেখিতে ইচ্ছা করি ; দুজনে বেশ মনে মনে মিলিল । বিদেশে এমন একটা মিল সহজে হয় না । লোকটকে দেখিয়া প্রথমে বোধ হইয়াছিল ফিরিঙ্গী হইবে, কিন্তু তাহ নয়, ভিতরটা খাট হিন্দু। তবে মনটা উদার ও সংস্কৃত ; উপরটাই কেবল ইংরাজী । আমাকে দেখিয়া তিনি ভাৰিয়াছিলেন গোয়ানীজ পর্তুগীজ। দেখিতে দেখিতে পাঁচ মাইল পথ কোথায় চলিয়া গেল ; আমরা নাসিকের ডাক্বাঙ্গালায় । নামিলাম । কঙ্কর ও প্রস্তরময় মাঠ, কিছু দূরে চিবি চিৰি পাহাড় ; বায়ু অতিশর শুক । স্বৰ্য্যরশ্মি বড় প্রখর । গ্রীষ্মে শরীর শুকাইয়া আসিল ; গা, হাত, প। চিড়চিড় করিতে লাগিল, মুখ শুকাইয়া আসিল, ঠোঠ ফাটিতে লাগিল । নাসিক সমুদ্র তল হইতে ১০০ ফিট উচা । বৃক্ষশূন্ত প্রস্তরময় দেশ, জলবায়ু
