পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ة وانجذ ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ জুলাই, ১৯৭৯ রূপার বাটি, পাথরের জিনিষ, নানাপ্রকারের মুদ্রা, গালার দ্রব্য, নানাজাতীয় লোকের পাগড়ী, গুটী ও রেশম, গ্রীস্দেশীয় ভাস্করকাৰ্য্য অতি মনোহর, বাগানে দেখিলাম কয়েকটা পিটে গাছ রহিয়াছে ; ১৪৷১৫ হাত উচা ঘন ডালপালা, পেপে গাছের দ্যায় পাতা নিৰিভূ সন্নিবেশ, কাকুরোলের স্তায় কাটার্কাট, ছোট ছোট বেলের মত ফল ; আর একটা বিদেশীয় গাছ দেখিলাম— পেট মোটা,মাংসল, বোয়াৰাব বৃক্ষ । বোম্বে ভিক্টোরিয়া বাগানে তিনের সমবায় দেখিলাম। আমাদের শিবপুরের উদ্ভিদ ৰাগ, আলিপুরের পশুশালা, আর চৌরঙ্গির যাদুঘর তিনট স্বতন্ত্র । আপন মাহাম্বো মহান, এখানে তিনটীর সমাবেশ এক স্থানে, কোনটরই মাহাত্মা নাই ; সব অতি সংক্ষেপ, নাম মাত্র। আমাদের শিবপুরের উদ্ভিদ ৰাগে যদি আলিপুরের চিড়িয়াখান বসাইরা দেওয়া যায়, এবং তারতম্যে যান্থস্বরটা স্থাপন করা যায়, তাহা হইলেই একটা ভিক্টোরিয়া বাগ হইল ; তবে স্বৰ্য্যের কাছে জোনাকী পোকার যে মাহাত্মা, গৌরব ; কলিকাতার ভিক্টোরিয়া বাগের নিকট বোম্বের ভিক্টোরিয়া বাগের সেই মাহাত্ম্য ও গৌরব । রাত্রি সাত আটটার সময় উদ্যানবিহার শেষ হইল, সঙ্গীত থামিয়া গেল, ধীরে ধীরে একে একে, দুইএ, দুইএ, দলে দলে সকলে বাহির হইলেন । একখানি ট্রামগাড়ীতে উঠিলাম, কিন্তু এত ভিড়–নামিতে হইল, বসিতে না পাইলে দাড়াইয়া থাকিবার অধিকার নাই । অবশেষে একখানি গাড়ি পাইলাম। দেখিলাম রাস্তার দোকানে যদিও অনেক বাতি জলিতেছে, অন্ধকার দূর হইতেছে না। অমাবস্তার রাত্রে যেমন নক্ষত্র অসংখ হইলেও নিশার কালিমা দূর করিতে পারে না, বম্বে সহরের অসংখ্য দীপপুঞ্জ রাস্তার অন্ধকার দূর করিতে পারিতেছে না । অন্ধকারে প্রাণ হাপাইয়া যাইতে লাগিল, তবে আমি কিছু রাত্রান্ধ বটে, ক্রমে আবালে ফেরা গেল । ইচ্ছা বসন্তের চিকিৎসা । ( २ ) ( পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর ) লেখক—ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত রমেশ চন্দ্র রায় এল. এম. এস্ । ৰসন্ত ৰাধিতে প্রবল বিকার দেখা গিয়াছে , তেমন অবস্থায় মাথা বরফ দেওয়া অবগু <ô<i ; q«* Hyoscine Hydrobrom ঔষধির সহিত ডিজিটেলিস ৰা, ষ্ট্রোপ্যানখাল ইত্যাদি মিশ্রিত করিয়া দিলে ঐ ৰিকারকে সহজেই দমন করা যায়। উপসর্গের অন্ত নাই ; তাহীদের সকল গুলিকে লক্ষ্য করিয়া একে একে চিকিৎসা করা উচিত ; কিন্তু সেই চিকিৎসার তালিকা দিয়া প্রবন্ধের কলেবর বৃদ্ধি করিয়া লাভ নাই । যে উপসর্গেরই চিকিৎসা হউক না কেন, প্রতিপদে হৃৎপিণ্ডের প্রতি আমাদের